রেলক্রসিংয়ের বেশিরভাগ সিগন্যাল লাইট-বেলই অচল

Slider জাতীয়


রেলক্রসিংয়ের অধিকাংশ সিগন্যাল লাইট ও বেল অচল। মেলে না ট্রেন আসার আগাম খবর। গেটম্যানরা বলছেন, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় লেভেল ক্রসিংয়ে মৃত্যুর মিছিল থামছে না। এদিকে গেল দশ দিনেই সারা দেশে রেলক্রসিংয়ে প্রাণ গেছে ২১ জনের। বারবার দুর্ঘটনার পরও নির্বিকার কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২৯ জুলাই) চট্টগ্রামের মিরসরাই লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঠিক পাঁচ দিন আগে গাজীপুরের শ্রীপুর লেভেল ক্রসিংয়ে রেলের ধাক্কায় প্রাণ যায় ৪ শ্রমিকসহ ৫ জনের। তার ৩ দিন আগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী কাগদি লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের নিচে ভটভটি চলে গেলে নিহত হন ৫ জন দিনমজুর। মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে লেভেল ক্রসিংয়ে ২১ জনের মৃত্যু কেন? গাজীপুরের ভুরুলিয়া রেলক্রসিং। রেল আসবে এমন কোনো বার্তা পাননি গেটকিপার সবুজ। তবুও, গেট নামিয়ে পতাকায় সবুজ সংকেত নিয়ে দাঁড়িয়ে তিনি। কারণ সাড়ে চার বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি জানেন-এখন আসবে ট্রেন। রেলপথের এমন প্রতিটি গেটে ৩ জন করে, ডাবল লাইনে ৬ জন করে দিনরাত পালা করে দায়িত্ব পালন করেন গেটকিপাররা। তবুও প্রায় সময়ই তাদের অবহেলায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে পাওয়া যায় এমন সংবাদ। আর গেটম্যানরা জানাচ্ছেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ট্রেন আসার আগাম কোনো বার্তা তারা পান না। আগের গেটম্যান ফোনে পরের গেটম্যানকে জানালেই কেবল নিচে নামে নিরাপত্তা গেট। ঢাকা-ময়মনসিংহ ও উত্তরবঙ্গ রেলসড়কের গাজীপুর অংশের ৫টি রেলক্রসিং সরেজমিনে ঘুরে মাত্র একটির সিগন্যাল লাইট ও বেল কার্যকর পেয়েছে সময় সংবাদ। বাকি ৪টিই অকেজো। গেটম্যানরা বলছেন, দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির এটিও একটি বড় কারণ। এছাড়া, অনভিজ্ঞ লোকদের গেটম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়ার মূল্যও চুকাতে হয় সাধারণ মানুষকে। এসব অভিযোগের উত্তর এড়িয়ে ক্রসিং পারাপারের সময় আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম। জয়দেবপুর থেকে যমুনা সেতুর পূর্ব পর্যন্ত ৭২টি ও টঙ্গী থেকে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত ৯৯টি গেট রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *