বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করতে আবারো ডিজেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে সরকার। আর সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলেও কার্যকর করেনি। এ অবস্থায় জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোডশেডিং করে উৎপাদন বন্ধ রাখার চেয়ে ডিজেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রাখার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক। তাদের মতে, জ্বালানি খাতের অনিয়ম কমাতে না পারলে কোনো কিছুই ফলপ্রসূ হবে না।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে ১৯ জুলাই থেকে দশদিন সারা দেশে বন্ধ ছিল ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ সময় সৃষ্ট লোডশেডিং এড়াতে ডিজেল চালিত জেনারেটরের ব্যবহার বাড়ায় সার্বিকভাবে দেশে ডিজেলের ব্যবহার মোটেও কমেনি। তাই আবারো ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য লোডশেডিং করে উৎপাদন বন্ধ রাখার চেয়ে ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যবস্থা সচল রাখাই যৌক্তিক। তাই ডিজেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক মনে করছেন
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন।
তিনি বলেন, লোডশেডিং করলে অর্থনৈতিক প্রভাব পড়ে। সেজন্য সরকার সবকিছু দেখে জ্বালানি খরচ বাড়লেও ডিজেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. এম শামসুল আলম বলেন, জ্বালানি সাশ্রয়ে ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী ছিল না।
এ ছাড়া সরকারি পরিবহনে জ্বালানির ব্যবহার সীমিত করা এবং আলোকসজ্জা বন্ধ করাসহ জ্বালানি সাশ্রয়ের কার্যকরী সব পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন তারা।