মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, পাঠ্যসূচিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যথেষ্ট নয়। এটি আরও সমৃদ্ধ করা দরকার। মহান মুক্তিযুদ্ধের পুঙ্খানুপুঙ্খ ইতিহাস জাতির সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরতে গণমাধ্যম ও গবেষকদের আরও সক্রিয় হতে হবে।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতায় ‘বজলুর রহমান স্মৃতি পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস সংরক্ষণ করলেই হবে না। এর সঙ্গে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী, রাজাকার, আলবদর, আল শামসরা কীভাবে নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতন করেছে সেই ইতিহাসগুলো তুলে ধরতে হবে। পাঠ্যসূচিতে এগুলো থাকা উচিত। না হলে প্রকৃত ইতিহাস আগামী প্রজন্ম জানতে পারবে না।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতায় প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে সমকালের সিনিয়র রিপোর্টার আবু সালেহ রনি এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণায় যৌথভাবে শাহাদুজ্জামান ও ড. খায়রুল ইসলামকে বজলুর রহমান স্মৃতিপদক প্রদান করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছিল। শাহাদুজ্জামান দেশের বাইরে থাকায় তার পক্ষে খায়রুল ইসলাম পুরস্কার গ্রহণ করেন।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ক্যাটাগরিতে একাত্তর টিভির সিনিয়র রিপোর্টার পার্থ সঞ্জয়কে ‘বজলুর রহমান স্মৃতি পদক প্রদান করা হয়েছে। পদক বিজয়ীদের প্রতি ক্যাটাগরিতে ক্রেস্ট ও এক লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জুরি বোর্ডের সভাপতি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সদস্যসচিব সারা যাকের এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জুরি বোর্ডের সদস্য রোবায়েত ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন।