পর্নোগ্রাফি মামলায় মো. নাদিম হাসান (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার নাদিম শতাধিক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের পর গোপনে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও করতেন। এরপর তাদের কাছ থেকে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে অর্থ আদায় করতেন বলে জানায় ডিবি পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) মুন্সীগঞ্জ সদরের পানাম আমতলী এলাকা থেকে নাদিম হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। নাদিম হাসান দালালপাড়া এলাকার মৃত কাদির মিয়ার ছেলে।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৯ জুলাই) সদরের পানাম আমতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছে ব্ল্যাকমেইল করে আদায় করা নগদ ৪০ হাজার টাকা ও পর্নোগ্রাফির কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
নাদিম পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন মামলার (৮(২)/৮(৩) আসামি। তরুণীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।
আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে শতাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেছেন নাদিম। পরে তাকে হাজতে পাঠানো হয়।
মুন্সীগঞ্জ ডিবি পুলিশের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, এক নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মো. নাদিম হাসান নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তিনি শতাধিক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে পরে আপত্তিকর ছবি ভিডিও ধারণ করতেন। তাদের কাছ থেকেই ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে অর্থ আদায় করে আসছিলেন তিনি। আটকের সময় নাদিমের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও পর্নোগ্রাফির কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তার মোবাইলে অসংখ্য আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে।
আসামিকে আদালতে সোপর্দের পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।