উজবেকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী জামসেদ খোদজায়েভ দুই দিনের সফরে শুক্রবার (২৯ জুলাই) ঢাকায় আসছেন। ৩৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল নিয়ে সকালে তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
তার এ সফরে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল, দ্বৈত কর পরিহার, কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি, এলসি জটিলতা নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংক ও উজবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা করে পরবর্তীতে সমঝোতা স্মারক সইয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও তাসখন্দের বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধিদল নিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার আগে ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সফরের শুরুতে রাজধানীর একটি হোটেলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর একই হোটেলে ইন্টার গভমেন্টাল কমিশন মিটিং অন ট্রেড অ্যান্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশনে অংশ নেবেন। দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে এবং দুপুর ৩টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিলিত হবেন। একই দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রীর।
>> উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরে গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা পোস্টকে জানান, শুক্রবার উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করবেন। উজবেকিস্তানের দিক থেকে এটি খুব বড় একটা সফর। উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রীর এ সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তার এ সফরে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
সমঝোতা স্মারকের বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল, দ্বৈত কর পরিহার, কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি, এলসি জটিলতা এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও উজবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা করে পরবর্তীতে সমঝোতা স্মারক বা এমওইউ সই করার বিষয়টি চূড়ান্ত করবে।
দূতাবাসের তথ্য বলছে, উজবেক প্রতিনিধিদলে দেশটির পরিবহনমন্ত্রী (সিভিল এভিয়েশন), পররাষ্ট্র উপ-মন্ত্রী, কৃষি উপ-মন্ত্রী, বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক উপ-মন্ত্রী, টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান (উপ-মন্ত্রী পদমর্যাদা), লেদার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এবং ফার্মাসিউটিক্যালস এজেন্সির পরিচালকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা থাকছেন।
তাসখন্দের বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উজবেকিস্তানে সফর করেন। এছাড়া সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী গত কয়েক বছরে উজবেকিস্তান সফর করলেও সে অর্থে দেশটির সরকারি মন্ত্রী কিংবা বড় পর্যায়ের কোনো নেতার সফর হচ্ছে না। তাই এ সফরটিকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে দূতাবাস।
শনিবার (৩০ জুলাই) তাসখন্দে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রীর।