আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমার খবরে স্বস্তি

Slider সারাবিশ্ব


নানামুখী সংকটের মধ্যেই কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার খবর। এতে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশের জ্বালানি খাত। ডলারের দরের ঊর্ধ্বগতির সময়ে তেলের দরের এ নিম্নগতি কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে।

বৈশ্বিক চাহিদা কমতে থাকায় চলতি বছর জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বের তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সৌদি আরব সফরের বিষয়টিও প্রভাব ফেলছে তেলের দাম স্থিতিশীল রাখার পেছনে। পুরোপুরি না হলেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কিছুটা হলেও তেলের উৎপাদন বাড়াতে পারে সৌদি আরব ও তার নেতৃত্বাধীন উপসাগরীয় তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো।

চীনের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতিও প্রভাব ফেলেছে তেলের চাহিদা কমে আসার পেছনে। দেশটির শিল্পসমৃদ্ধ অঞ্চলে লকডাউনের কারণে সেখানে কমেছে তেলের ব্যবহার। পাশাপাশি খাদ্য সরবরাহে তুরস্কের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি স্বাক্ষরিত রাশিয়া ও ইউক্রেনের চুক্তিরও প্রভাব পড়ছে বিশ্ববাজারে।

তবে চলতি সপ্তাহে তেলের দাম কমে আসার পেছনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ বা এসপিআর থেকে আরও দুই কোটি ব্যারেল তেল ছাড়ার সিদ্ধান্ত। এর আগেও ১৮ কোটি ব্যারেল তেল এসপিআর থেকে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

এছাড়া বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ব্যাপকভাবে কমে আসা নিয়ে আইএমএফের পূর্বাভাসেরও প্রভাব পড়ছে জ্বালানির দামে। এ পরিস্থিতিতে চাহিদা কমে আসায় বছরজুড়ে তেলের দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত ব্রেন্টক্রুডের দাম গত ৮ মার্চ ব্যারেলপ্রতি উঠেছিল ১২৩ ডলারে। এরপর কিছুটা কমলেও গত ৮ জুন ফের ব্যারেলপ্রতি উঠে যায় ১২০ ডলারে। এরপর আস্তে আস্তে কমতে থাকে তেলের দাম। সর্বশেষ বুধবার (২৭ জুলাই) অপরিশোধিত ব্রেন্টক্রুড প্রতি ব্যারেল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ ডলারে। আর যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট বিক্রি হচ্ছে প্রতি ব্যারেল ৯৬ ডলারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *