মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে জাতিসংঘ বিরোধী দুই দিনের বিক্ষোভে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা মঙ্গলবার জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিক্ষোভে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত মরক্কোর একজন, ভারতের দুই পুলিশ সদস্য এবং উত্তর কিভু প্রদেশের বুটেম্বোতে জাতিসংঘের ঘাঁটিতে মিসরের একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিক্ষোভের সময় সহিংস হামলাকারীরা কঙ্গোলিজ পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় এবং জাতিসংঘের কর্মীদের ওপর গুলি চালায়।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘের একাধিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বলে জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে বলেছেন।
হক বলেন, মঙ্গলবার ‘শতশত হামলাকারী’ গোমা ও উত্তর কিভুর অন্যান্য অংশে জাতিসংঘ বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালায়। তারা পাথর ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে, ঘাঁটি ভাঙছে, লুটপাট ও ভাঙচুর করছে এবং স্থাপনাগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, দ্রুত বাহিনী পাঠানোসহ ‘আমরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি’ কিন্তু সহিংসতা থেমে গেছে এমনটা বলা যাচ্ছে না।
হক বলেন, অন্তত চারটি মিশনে কর্মীদের বাসস্থানকে লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তাদেরকে এখন জাতিসংঘের ক্যাম্পে স্থানান্তরিত হয়েছে।
কঙ্গো পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার গোমায় অন্তত ছয়জন এবং বুটেম্বোতে আটজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
এর আগে সরকারের মুখপাত্র প্যাট্রিক মুয়ায়া বলেছেন, সোমবার পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন।
তবে বিক্ষোভকারীরা শান্তিরক্ষীদের ছোড়া গুলিতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে।