গ্রামবাংলানিউজ টিম
নতুন বাজার, গাজীপুর থেকে: : সদর উপজেলার বাঘের বাজারের নতুন বাজার এলাকায় মেঘনা গ্রুপের সাইকেল প্রস্তুত কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
তবে অগ্নিকান্ডের কারণ রহস্যজনক হলেও আগুন লাগার পূর্বেই কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে বের করে দেয় মর্মে তথ্য প্রমান পাওয়া গেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্য়ন্ত আগুন সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রনে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে গাজীপুর, শ্রীপুর, ভালুকা, টঙ্গী ও কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট কাজ করছে।
শনিবার (০২ মে) বেলা পৌনে ২টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজারের নতুন বাজার এলাকায় মেঘনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ট্রান্সওয়াল্ড বাইসাইকেল
নামক কারখানায় ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বিকাল সোয়া ৫টায় এই রিপোর্ট লেখার সময় আগুন জ্বলছিল। তবে আগুনের পরিধি বাড়ছে না বলে দাবি করছে ফায়ার
সার্ভিস।
গজীপুর ফয়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান লিটন জানান, ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে। আগুন এখন সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রনে না
আসলেও পরিধি বাড়ছে না বলে দাবি করেন তিনি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত মেঘনা গ্রুপের একাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত থাকলেও কেউ নিজেদের কর্মকর্তা বলে দাবি করছেন না। মিডিয়া কর্মীদের দাবির মুখে গাজীপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মনোয়ার হোসেনকে দিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
মনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রনে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানা যাবে। আপাতত আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
টনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কারখানাজুড়ে এখনো ধোঁয়ার কুণ্ডলী। কারখানার পাশের তিনটি বাড়ি ও দু’টি দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে গিয়ে আহত হয়েছেন অন্তত চারজন। তাদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন আবাসিক এলাকার। বাকী ২জন কারখানার শ্রমিক।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা গ্রুপের সাইকেল প্রস্তুত কারখানা ট্রন্সওয়ার্ল্ডের রাবারে আগুন লাগার পর আগুন বাড়তে থাকে। কারখানার পাশাপাশি আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের আবাসিক এলাকায়। আতঙ্কে ঘটনাস্থল নতুন বাজার এলাকার অধিবাসীরা বাসা বাড়ির জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছেন। তবে এখনো কারখানার ভেতরে সাইকেলের গোডাউনে আগুন জ্বলছে। কারখানার ৩টি কাভার্ডভ্যানেও আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
তবে অগ্নিকান্ডে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ কেন লোকচুরি খেলছেন তা জানা যায়নি। তবে গোপন সূত্র চলছে, মেঘনা গ্রুপের ওই ইউনিট ব্যাংক ঋনে জর্জরিত। কারখানায় আগুন লাগার পূর্বেই কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের রহস্যজনক কারণে বের করে দেয়। বের করার পূর্বে বেশ কিছু শ্রমিকের নিকট থেকে নন জুডিশিয়াল খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। অনুসন্ধানে ওই সকল খালি স্ট্যাম্পের ছবি পাওয়া গেছে।
এই ব্যাপারে কারখানার ভেতরে মালিক পক্ষের হয়ে কথা বলছেন জনৈক একজন বলেন, ভাই স্ট্যাম্পের বিষয়টি প্রকাশ না করলে হয় না। আমরা ব্যবস্থা করি।
বিকাল সাড়ে ৫টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মালিক পক্ষ কারখানায় ভেতরে পরিচয় গোপন করেই আছেন বলে জানা গেছে।