যাত্রী সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেল ঢাকা-বরিশাল রুটের জনপ্রিয় নৌ সার্ভিস এমভি গ্রিন লাইন-৩। বেশ কয়েকটি সংকটের সম্ভাব্যতায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গ্রিন লাইন পরিবহন ও ওয়াটার ওয়েজের জেনারেল ম্যানেজার মো. আব্দুস ছাত্তার।
তিনি জানান, ঈদের পরে ১০০ যাত্রীও হচ্ছিল না। আসলে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যাত্রী কমে গেছে। অনেকেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন ভাড়া কমাতে। তবে ক্যাটামেরান সার্ভিস পরিচালনায় ট্রিপ প্রতি খরচ বেশি। তাছাড়া আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি ভাড়া কমালেও যাত্রী আশানুরুপ বাড়বে না। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী ডিজেলের দাম বেড়েছে। ফলে ট্রিপ খরচ উত্তোলন নিয়েই শঙ্কা রয়েছে। ভাড়া কমিয়ে লঞ্চ সার্ভিস দেওয়া সম্ভব। ক্যাটামেরান সার্ভিস অব্যাহত রাখা অসম্ভব।
আব্দুস ছাত্তার বলেন, এমভি গ্রিন লাইন-৩ এ কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে। সেটি মেরামত করতে ডকইয়ার্ডে নিতে হবে। এতে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় লাগবে। তবে ঢাকা-হিজলা-বরিশাল রুটে আবারও সার্ভিসটি চালু করা হবে কিনা এখনই আমরা বলতে পারছি না। আমাদের ধারণা যাত্রী সংকটের কারণে স্থায়ীভাবেই বন্ধ করা হতে পারে এই রুটের সার্ভিস।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ক্যাটামেরান সার্ভিসের দুটি ওয়াটারওয়েজ জাহাজ নিয়ে ঢাকা-হিজলা-বরিশাল রুটে দিবা সার্ভিস শুরু করে গ্রিন লাইন পরিবহন। ওই সময়ে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। সার্ভিসটি চালুর পর তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক মাসের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দেয় গ্রিন লাইন।