নভেম্বরের পর করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ বন্ধ

Slider জাতীয়


মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সারা দেশেই চলছে টিকা কার্যক্রম। তবে আগামী নভেম্বর মাস থেকে আর কোনো ব্যক্তিকে করোনা টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সময়ের পর শুধুমাত্র বুস্টার বা তৃতীয় ডোজের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিরাই টিকা পাবেন।

সোমবার (২৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে এখনো প্রায় দেড় কোটি টিকা মজুত আছে। বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা টিকার ব্যবহারের মেয়াদ নভেম্বরে শেষ হবে। তাই নভেম্বরের পর আর প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা ব্যবহার করা যাবে না।

করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর থেকে ১২ বছরের বেশি বয়সী ৩৩ লাখ মানুষ এখনো প্রথম ডোজ টিকা নেননি। এ ছাড়া প্রথম ডোজ পাওয়া ৯৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেননি।

মূলত চারটি উৎস থেকে এ পর্যন্ত ৩০ কোটির কিছু বেশি টিকা দেশে এসেছে। এর মধ্যে কিছু টিকা উপহার হিসেবে পাওয়া। একটি অংশ অনুদান হিসেবে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া। বাকি আরেকটি অংশ কোভ্যাক্সের মধ্যস্থতায় ভর্তুকি মূল্যে কেনা।

স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩ লাখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশ করোনার টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭১ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে। আর ২৩ শতাংশ পেয়েছে বুস্টার ডোজ।

এদিকে, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদান আগামী আগস্ট মাস থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দেশে এই বয়সী শিশুদের সংখ্যা আছে ৪ কোটি ৪০ লাখ। এদের দেওয়ার জন্য ৪ কোটি ১০ লাখ টিকার নিশ্চয়তা স্বাস্থ্য বিভাগ পেয়েছে। শিশুদের দুই ডোজ করে টিকা দেয়া হবে। এর জন্য টিকার প্রয়োজন হবে ৮ কোটি ৮০ লাখ ডোজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *