গত ১৭/০৭/২২ তাং রাত অনুমান ০১.১০ ঘটিকার সময় ডুয়েটের সহকারী অধ্যাপক মিরাজুল ইসলাম ভূইয়াকে সদর থানাধীন শিমুলতলী রোডস্থ তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে ব্রীজের উত্তর পাশে অটোরিকশা সহ পথরোধ করে ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, নগদ ১৫,৫০০ টাকা ও কাপড় চোপড় ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
উক্ত বিষয়ে সদর থানায় মামলা রুজু হলে ইং ১৯/০৭/২২ইং ১৯.০০ ঘটিকার সময় আসামী মারুফ হাসান (১৮) পিতা- সিরাজ, তার শিমুলতলীর বাসা হতে গ্রেফতার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, সে তার সহযোগী ৩ জন সহ ছিনতাই করা মালামালের মধ্যে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ শিমুলতলী বাজারস্থ ফ্রেন্ডস টেলিকম নামে একটি দোকানে বিক্রি করেছে। এর প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে ১৯/০৭/২২ইং ১৯.৩০ ঘটিকায় শিমুলতলী বাজারের ফ্রেন্ডস টেলিকম এর স্বত্ত্বাধিকারী রাজুর ছোট ভাই হাসিবুর রহমান (১৮), পিতাঃ মোঃ সোলায়মান, মৌবাগ, শিমুলতলী ও তাহার বন্ধু আসামী আজিজুল হাকিম মাহিম (১৮), পিতা- মোঃ শামসুল, সাং- শিমুলতলী, স্কুল গেইট, থানা- সদর’দের গ্রেফতার করে তাদের হেফাজতে থাকা ছিনতাইকৃত ১টি আইফোন ও ১টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে আসামী মারুফ হাসান এর সনাক্ত মতে ১৯/০৭/২২ইং, ২৩.৩০ ঘটিকার সময় লক্ষীপুরা কাউন্সিলর অফিসের সামনে থেকে আসামী নুরুন্নবী (১৮), পিতা- নুরুল হক, সাং- গোয়ালেরচর, থানা- ইসলামপুর, জেলা- জামালপুর, এ/পি- বিএডিসি, মাহাবুবের বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা- সদর, গাজীপুর মহানগর, ও আসামী সাব্বির (১৮), পিতা- আকবর মিয়া, সাং- ভুরুলিয়া, ময়লারটেক, থানা- সদর, গাজীপুর মহানগর’দেরকে গ্রেফতার করা হয়।
পেশাদার এই ছিনতাইকারী চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে শিমুলতলী ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় এ জাতীয় অপরাধ করে আসছিল। আসামী মোঃ মারুফ হাসান, নূরুন্নবী, সাব্বির এবং তাদের সহযোগী সেলিম সরাসরি ছিনতাইয়ের ঘটনায় অংশগ্রহণ করে। ছিনতাইকৃত মালামালের মধ্যে আইফোন ও ল্যাপটপ শিমুলতলী বাজারস্থ ফ্রেন্ডস টেলিকমের মালিক রাজুর ছোট ভাই হাসিবুর রহমান ও তার বন্ধু আজিজুল হাকিম মাহিমের নিকট বিক্রয় করে। সদর থানা পুলিশ পুরো ছিনতাইকারী চক্রটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং এই চক্রের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিনতাইকৃত মালামাল গ্রহণকারীকেও আইনের আওতায় আনতে সমর্থ হয়।
সূত্র:জিএমপির মিডিয়া সেল