পাবনা: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আগামী ৩০ জুলাই এ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তিন ধাপের পরীক্ষার প্রথম ধাপ শুরু হতে যাচ্ছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে যাবতীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।
সোমবার সকালে নিজ কার্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে কমিটির আহ্বায়ক ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন জানান, ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করছে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে আবেদনকারীরা পছন্দমত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনোটিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে। তবে আবেদনকারীদের মধ্যে পাবনার কেন্দ্রসমূহে তিনটি ইউনিটে সরাসরি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন ১৭,৪৩৮ জন। এর মধ্যে এ ইউনিটে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র ছাড়াও আরও ১০টি কেন্দ্রে মোট ১০,৭৮৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। ৩০ জুলাই দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ (বিজ্ঞান) ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ থাকবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ব্যতীত কেউ কোনো কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। যেহেতু অনেক মানুষের সমাগম হবে তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সহযোগিতা দরকার। পাশাপাশি পাবনাবাসীরও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।
ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, ভর্তি পরীক্ষা জাতীয় ইস্যু। সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে।
সভায় পুলিশের প্রতিনিধি বলেন, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক মিলে প্রায় ৩০,০০০(ত্রিশ) মানুষের সমাগম ঘটবে। মানুষের হয়রানি কমানোর জন্য ট্রাফিক সিস্টেম উন্নত করা হবে। বিভিন্ন চেক পয়েন্টে তল্লাশি করা হবে। ৬টি মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করবে। কেউ যাতে অসদুপায় অবলম্বন করতে না পারে সেজন্য আগের দিন থেকে শহরের সব ফটোস্ট্যাট মেশিন বন্ধ করে দেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে পুলিশ থাকবে।
র্যাবের প্রতিনিধি জানান, র্যাবের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। থাকবে কেন্দ্র ভিত্তিক বিশেষ মোবাইল টিম।
সরকারের বিশেষ বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকারের বিভিন্ন সংস্থাগুলি কাজ শুরু করে দিয়েছেন। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কোনো রকম বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করতে দেওয়া হবে না। ডিজিটাল সিকিউরিটি বাড়ানো হবে। কোনো কেন্দ্রে বহিরাগতদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং করা হবে।
প্রসঙ্গত, বি (মানবিক) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ আগস্ট ৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৫,৩৪৫ জন অংশগ্রহণ করবেন। সর্বশেষ সি (বাণিজ্য) ইউনিটের পরীক্ষা ২০ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ১,৩১০ জন পরিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব), প্রক্টর, পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিবসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জিএসটি) ভর্তি পরীক্ষা এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফারুক হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।