খুলনা টেস্টে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে করা ২৯৬ রানের লিড টপকাতে প্রয়োজন আর মাত্র ২৩ রান। চতুর্থ দিন শেষে এই লিড টপকে পাকিস্তানকে টার্গেট দিতে হাতে আছে আরও ১০টি উইকেট। তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের ব্যাট খুলনা টেস্টকে নিশ্চিত পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছে। চতুর্থ দিন বাংলাদেশের ৩৩২ রানের জবাবে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছিল ৬২৮ রানে। সেই সুবাদে বাংলাদেশের সামনে পাকিস্তানের লিড ছিল ২৯৬ রান। কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতির কিছুক্ষণ আগে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তুলেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। এরই মধ্যে ৭ম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম ইকাবল। তারপরই তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেনি ইমরুল কায়েস। চতুর্থ দিন এই দু’জনের ব্যাট থেকে এসেছে টেস্টে যে কোন উইকেটে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। এর আগে মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহীম মিলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ম উইকেটে ২৬৭ রানের সর্বোচ্চ জুটি গড়েছিলেন। কিন্তু খুলনা টেস্টের চতুর্থ দিন তামিম-ইমরুল ১৭৩ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে সেই রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এর আগে ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবালের ওপেনিংয়ে গড়া ২২৪ রানের সর্বোচ্চ জুটি তারা নিজেরাই টপকে গেছেন। তাদের এমন দূর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চতুর্থ দিনটি পাকিস্তানের জন্য কেটেছে নিদারুণ হতাশায়। তামিম ইকবাল ১৮৩ বলে ১৩৮ ও ইমরুল ১৮৫ বলে ১৩২ রান করে অপরাজিত আছেন। তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩টি চার ও চারটি ছয়ের মার অন্যদিকে ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে এসেছে ১৫টি চার ও ৩টি ছয়ের মার। চতুর্থ দিন শেষ বাংলাদেশের সংগ্রহ কোন উইকেট না হারিয়ে ২৭৩ রান। তামিম ইকবালের ব্যাটে দেশের হয়ে টেস্টে টানা তিন সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন। গতবছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনা ও চট্টগ্রাম টেস্টে টানা ২টি সেঞ্চুরি করেছিলেন। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করেন। শুধু তাই নয় দেশের সর্বাধিক টেস্ট সেঞ্চুরি মালিক এখন চট্টগ্রামের তামিম। শনিবার পঞ্চম দিন এই দু’জন পাকিস্তানের বিপক্ষে লিড টপকে যত রান সংগ্রহ করেবে সেটি হবে পাকিস্তানের জন্য টেস্ট বাঁচানোর লড়াই। আপাততো দৃষ্টি মনে হচ্ছে খুলনা টেস্টে ড্র’র দিকেই গড়ােেচ্ছ। এর আগে চতুর্থ দিন পাকিস্তানের ইনিংস থামে ৬২৮ রানে সব কটি উইকেট হারিয়ে। বাংলাদেশের হয়ে টানা তিন ম্যাচে ৫টির বেশি উইকেট নেয়ার রেকর্ড গড়েন তাইজুল ইসলাম। এর আগে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করা ৩৩২ রানের জবাবে পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিল খুলনা টেস্টের দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্ন রিবতির পর। মো. হাফিজের ডাবল সেঞ্চুরিতে ভর করে চতুর্থদিন মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত তাদের রানের চাকা সচল থাকে। তৃতীয় দিন ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৩৭ রান সংগ্রহ করেছিল মিসবাহর দল। কিন্তু চতুর্থ দিন দলীয় ৫৯৪ রানের সময় শরফরাজ পেসার মো. শহীদকে প্রথম উইকেট উপহার দিয়ে ৮২ রানে সাজঘরে ফিরেন। এরপর আর খুব বেশি দূর যেতে পারেনি পাকিস্তানের লেজের দিকের ব্যাটসম্যানরা। তাইজুল নিয়েছেন ৬টি উইকেট।