ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) আওতাধীন এলাকায় গ্রাহকরা তিন ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং অনুভব করেছেন এবং ঢাকা পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) আওতাধীন এলাকায় কোনো লোডশেডিং হয়নি।
শনিবার সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ঘোড়াশাল পাওয়ার স্টেশনের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়ায় উত্তরা, গুলশান, বারিধারা, বসুন্ধরা, বনানী, বাড্ডা, উত্তরা খান, দক্ষিণখান, আগারগাঁও, মিরপুর, কাফরুল, কল্যাণপুর, খিলক্ষেত, পল্লবী, রূপনগর ও টঙ্গীসহ ডেসকো এলাকায় দীর্ঘ লোডশেডিং শুরু হয়েছে।
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমীর আলী বলেন, ‘ঘোড়াশালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ থাকায় আমরা অন্য দিনের তুলনায় কম সরবরাহ (বিদ্যুৎ) পাচ্ছি বলে বিভিন্ন সময়ে তিন ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং করতে হয়েছে।
তিনি জানান, ঘোড়াশাল পাওয়ার স্টেশন হচ্ছে বিদ্যুতের একটি প্রধান উৎস, যেখান থেকে ডেসকো পাওয়ার সাপ্লাই পায়।
ডেসকোর প্রধান নির্বাহী জানান, ঘোড়াশাল স্টেশনে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পর শনিবার ডেসকোতে চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুত সরবরাহ এক হাজার ৩৮ মেগাওয়াটের পরিবর্তে ৭৫০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছে।
ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে ডেসকোকে প্রায় ২৭৮ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার ভোর ৪টা ৪৯ মিনিটে ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩৬৫ মেগাওয়াট ইউনিট-৭ বিপর্যস্ত হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়।
বিপিডিবির জনসংযোগ পরিচালক শামীম হাসান জানান, শনিবার বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিস্থিতি ভালো ছিল। এদিন এক হাজার ২৪২ মেগাওয়াটের নির্ধারিত লোডশেডিং অনুমান করা হয়েছিল এবং ১৪ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে প্রজেক্টেড উৎপাদন ছিল ১২ হাজার ৭৫৮ মেগাওয়াট।
ডিপিডিসি তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একটি বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের এলাকায় কোনো নির্ধারিত লোডশেডিং নেই, যা মূলত ঢাকা শহরের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব, দক্ষিণ-পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
চলমান বিদ্যুৎ সঙ্কট মোকাবেলায় মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে দৈনিক এক ঘণ্টা এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু করেছে সরকার।
সূত্র : ইউএনবি