শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় হামজা শাহবাজই পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে টিকে গেলেন। ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করার ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের প্রয়াস ব্যর্থ হয়ে গেছে। পিটিআইয়ের নির্বাচনী মিত্র পিএমএল-কিউ সরে গিয়ে পিএমএল-এনকে সমর্থন দিলে সব হিসাব পাল্টে যায়। ডেপুটি স্পিকার পিএমএল-কিউয়ের যে তিনটি ভোট হামজা শাহবাজের পক্ষে পড়ে, সেগুলো গ্রহণ করেন। আর যে ১০টি ভোট পিটিআইয়ের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী পারভেজ ইলাহির পক্ষে গিয়েছিল, সেগুলো বাতিল করে দেন। ওই তিন ভোটেই জয়-পরাজয়ের ফয়সালা হয়। নির্বাচনে হামজা পান ১৭৯ ভোট। আর ইলাহি লাভ করেন ১৭৬টি। ওই ১০ ভোট গণনা করা হলে ইমরান খানের প্রার্থী সহজেই জয়ী হতেন।
তবে ইমরান খান এই ফলাফল সম্ভবত মেনে নেবেন না। তিনি আবার আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন।
বৃহস্পতিবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি পিটিআইয়ের মিত্র পিএমএল-কিউয়ের চেয়ারপারসন চৌধুরী শুজাত হোসানের সাথে দুবার বৈঠক করেছিলেন। সেটাই সব হিসাব পাল্টে দিয়েছিল। আজ ভোটভুটি শুরুর আগে শুজাত জানিয়ে দেন, তারা পিটিআইয়ের প্রার্থীকে সমর্থন করবেন না। ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মোহাম্মদ মাজারি তাকে লেখা শুজাতের চিঠিটি পাঠ করে শোনান।
শুক্রবার ভোটাভুটির আগে পিএমএল-কিউ নেতা মুনিস ইলাহি বলেন, তার চাচা দলের সিনিয়র নেতা শুজাত নির্বাচনে ইমরান খানের প্রার্থীকে সমর্থন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তিনি শুজাতের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে ভিভিও রেকর্ডে কিছুই বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি তার চাচার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘আমি হেরে গেছি, ইমরান খানও হেরে গেছেন। তবে জারদারি জিতেছেন।’
সূত্র : জিও টিভি, দি নিউজ ইন্টারন্যাশনাল, ডন