অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েই কঠোর হাতে আন্দোলন দমনে সক্রিয় হলেন রনিল বিক্রমাসিংহে। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাতে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তিনি। এর কয়েক ঘণ্টা পরই কলম্বোয় আন্দোলনকারীদের ক্যাম্পে অভিযান চালায় শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
গভীর রাতে কলম্বোয় লঙ্কান নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের কিছু ভিডিও ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, রাজধানী শহরেরগালে ফেস অঞ্চলে অবস্থানকারীদের ব্যারিকেড ভেঙে দিচ্ছে সেনারা। উপড়ে ফেলা হচ্ছে তাদের তাঁবুগুলো।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, অভিযানকালে আটক করা হয়েছে অনেককে। ঘটেছে হতাহতের ঘটনাও।
বুধবারের (২০ জুলাই) প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে মোট ২১৯ ভোটের মধ্যে ১৩৪ ভোট পেয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রনিল বিক্রমাসিংহে। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুল্লাস আলাহাপ্পেরুমা পান ৮২ ভোট। আর বামপন্থি নেতা অনুরা দেশনায়েক শুধু নিজের দল থেকে পান ৩ ভোট।
এ জয়ের পর পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে ‘এগিয়ে যাওয়ার পথে যাত্রা’ শুরু করার জন্য ঐক্যের আহ্বান জানান বিক্রমাসিংহে। দেশের সংকট মোকাবিলায় অন্যান্য প্রার্থীদের পাশাপাশি বিরোধী দলকেও একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে দেশের অবস্থা কতটা কঠিন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। এখন আমি সবাইকে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য আলোচনা করতে একত্র হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
কিন্তু গোতাবায়ার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় রনিল বিক্রমাসিংহের ওপর ক্ষুব্ধ শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। বিক্রমাসিংহের শাসন থেকেও মুক্তি চান তারা। রনিল প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা।
অন্যদিকে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা কিংবা সরকারি কোনো ভবন দখল নেয়া ‘গণতান্ত্রিক কার্যক্রম’ নয় উল্লেখ করে, আগেই বিক্ষোভ দমনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রনিল বিক্রমাসিংহে।