লোডশেডিং নয়, টেকসই ফল পেতে করণীয় জানালেন বিশেষজ্ঞরা

Slider জাতীয়


এলাকাভিত্তিক শিডিউল লোডশেডিং, সরকারি অফিসে বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমানোসহ জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারের সিদ্ধান্তগুলো সাময়িক বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। তাই টেকসই ফল পেতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অযৌক্তিক ব্যয়, অনিয়ম, অস্বচ্ছতা বন্ধের কোনো বিকল্প নেই। আর ভর্তুকি দিয়ে হলেও জ্বালানির পর্যাপ্ত আমদানি চালু রাখতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। অন্যথায় উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

জ্বালানি খাতে লোকসান কমাতে সারা দেশের ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্রগুলো সোমবার (১৮ জুলাই) থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। শিডিউল করে চলছে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং। যার ফলে কমেছে ১ হাজারের বেশি মেগাওয়াট বিদ্যুতের ব্যবহার। এমনকি সরকারি অফিসে বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তবে সরকারের সিদ্ধান্তগুলো সাময়িক বলে দাবি করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম। তিনি বলেন, টেকসই ফল পেতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অযৌক্তিক ব্যয়, অনিয়ম, অস্বচ্ছতা বন্ধ করা দরকার।

আর ভর্তুকি দিয়ে হলেও জ্বালানি আমদানি অব্যাহত রাখার পক্ষে মত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. এম এম আকাশের। অন্যথায় উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, এছাড়া ডলারের রিজার্ভ ধরে রাখতে তুলনামূলক কম প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি সার্বিকভাবে নিরুৎসাহিত করতে হবে। তবে অব্যাহত রাখতে হবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *