এ এক নয়া মডেলের নির্বাচন। উৎসব তো বটেই। দখলের উৎসব। একেবারেই খোলামেলা। কোন রাখডাক নেই। সকাল সকাল প্রায় প্রতিটি কেন্দ্র থেকেই হাওয়া বিএনপি সমর্থক এজেন্টরা। কেউ ঢুকতে পেরেছেন, কেউ পারেননি। তবে থাকতে পারেননি কেউই। হুমকি, মারধর, হামলা আর গ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন তারা। কাউকে কাউকে আটকে রাখা হয় আগেই। রক্তাক্ত এজেন্ট যেন একটি নির্বাচনেরই প্রতিচ্ছবি। আভাস পাওয়া গিয়েছিল আগের রাতেই। খবর আসছিলো, ব্যালট পেপারে সিল মারার। যদিও তার সংখ্যা ছিল কম। তবে গতকাল দিনের শুরুতেই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যায়। প্রথম বাধার শিকার গণমাধ্যম। বেশির ভাগ কেন্দ্রেই ক্যামেরা নিতে মানা। দিনভর টার্গেট সাংবাদিকরা। কেন্দ্র বিরোধী এজেন্টমুক্ত করার পর বিরোধী ভোটারমুক্তও করা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল তাদের শতভাগ সহযোগী। কোথাও কোথাও অগ্রণী ভূমিকায়। কেন্দ্রের সামনে বিরোধীরা যেন আসতে না পারেন তা নিশ্চিত করা হয় শতভাগ। এরইমধ্যে চলে গায়েবি ভোট। প্রকাশ্যে ব্যালটে সিলমারা। ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরাই শুধু নয় এমনকি কোথাও কোথাও নির্বাচনী কর্মকর্তাদেরও দেখা গেছে ব্যালটে সিল মারতে। কোথাও কোথাও ভোটাররা ভোট দিতে গেলে বলা হয়, দেরি করে ফেলেছেন। অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে কয়েকটি কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। বলাবাহুল্য, এ সংঘর্ষ হয়েছে সরকারি দলের কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যেই। সার্বিক পরিস্থিতিতে দুপুরেই নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রফেসর নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, একশ’ ভাগ ভোট পড়লেও অবাক হবো না। তবে এতো কিছুর পরও সেনা সদস্যরা অবশ্য মোতায়েন ছিলেন সেনানিবাসেই। কোথাও তাদের ডাকার প্রয়োজন মনে করেনি নির্বাচন কমিশন। সারাদিনের ঘটনাপ্রবাহ দেখে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ যেন জোর যার, ভোট তার। কেউ কেউ বলছেন, ডিজিটাল জমানায় এনালগ কারচুপি।
ভোটের শুরুতেই নানা কেন্দ্র থেকে খবর আসতে থাকে বিএনপির নেতৃত্বের কাছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘুরে হতাশাজনক চিত্র দেখেন প্রার্থীরা। দ্রুতই এগুতে থাকেন নির্বাচন বর্জনের দিকে। প্রথম ঘোষণা আসে অবশ্য চট্টগ্রাম থেকে। বেলা ১২টার আগেই কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে যান মনজুর আলম। একইসঙ্গে রাজনীতি থেকেও অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন- উত্তরের মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল এবং দক্ষিণের প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। মওদুদ আহমদ বলেন, র্যাব-পুলিশ এবং সরকারি দলের লোকজন আমাদের সব এজেন্টকে বের করে দিয়েছে। এটা কোন নির্বাচন হয়নি। এটা একটি ভোটবিহীন প্রহসনের নির্বাচন। এ নির্বাচনকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। তবে শুধু বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীই নয়, আলোচিত বেশির ভাগ মেয়রপ্রার্থীই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। তাদের মধ্যে জাতীয় পার্টি, সিপিবি সমর্থিত প্রার্থীরা যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন জোনায়েদ সাকী, গোলাম মাওলা রনির মতো প্রার্থীরা। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগ। যদিও দিনভর জালভোটের উৎসব আর বিএনপির বর্জনের পর এ নির্বাচনে কারা জয়ী হচ্ছেন তা নিয়ে অবশ্য কারো কোন আগ্রহ ছিল না। তিন ক্ষমতাসীন সমর্থিত প্রার্থীর নাম- ঢাকা উত্তরে আনিসুল হক, দক্ষিণে সাঈদ খোকন, চট্টগ্রামে আ.জ.ম নাছির উদ্দিন।
কলঙ্কজনক ভোট বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। তবে সবকিছু এত খোলামেলা হওয়ার ঘটনা সম্ভবত এবারই প্রথম। একদিনের বাদশারা তাদের রায় দিতে পারবেন কি-না তা নিয়ে আগেই শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। আশঙ্কা ছিল, নজিরবিহীন ভোটের। ভোট নজিরবিহীনই হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, মঙ্গলবার কোন মঙ্গল বয়ে আনেনি। গায়েবি ভোটের উৎসবে ম্লান হয়েছে গণতন্ত্র। বেশির ভাগ মানুষই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। এ নিয়ে বেশি বলাও অবশ্য মুশকিল। কিছু কিছু পত্রিকা বলেছিল, এ নির্বাচন হবে গণতন্ত্রের অগ্নিপরীক্ষা। পরীক্ষা শেষে বলা যায়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র আরও একবার পরাজিত হয়েছে।
নির্বাচন বর্জন করলেন যারা-
২০দলীয় জোট ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি, জোনায়েদ সাকীও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলও ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এছাড়া, জাতীয় পার্টির সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন সমর্থিত মেয়রপ্রার্থীরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। ব্যাপক কারচুপি ও সরকারসমর্থিত প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্র দখলের প্রতিবাদে এই ঘোষণা দিয়েছেন তারা। গতকাল দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই বর্জনের ঘোষণা দেন মেয়রপ্রার্থীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়রপ্রার্থী মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়রপ্রার্থী আলহাজ আব্দুর রহমান, সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, কেএম আতিকুর রহমান প্রমুখ। প্রার্থীরা বলেন, ভোটগ্রহণ শুরুর পর বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্ট বের করে দেয়া, জালভোট প্রদান ও ভোটকেন্দ্র দখল করে সরকারদলীয় প্রার্থীদের ভোট প্রদানসহ নানা অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে। এহেন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের পরিবেশ বিনষ্ট হয়ে গেছে বলে আমরা মনে করছি। এ প্রহসনের নির্বাচনকে আমরা মেনে নিতে পারি না। তাই আমরা এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি। চট্টগ্রাম থেকেও আমাদের মেয়র প্রার্থী ওয়ায়েজ হোসেন ভূঁইয়া নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী না নামিয়ে সরকারসমর্থিত প্রার্থীদের ভোট ডাকাতির সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা এ নির্বাচন বর্জন করছি এবং এ নির্বাচন বাতিল করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে বিরোধী জোটের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা আসার পর ঢাকা উত্তরের মেয়রপ্রার্থী জোনায়েদ সাকীও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল দুপুরে নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। সাকী বলেন, যেভাবে কেন্দ্র দখল করা হয়েছে, ব্যালট ছিনতাই করা হয়েছে তাতে এই ভোট ও ফল মেনে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। এ কারণে আমি নির্বাচন ও ফল প্রত্যাখ্যান করছি। এছাড়া ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি। বিকাল তিনটার দিকে তিনি নির্বাচন বর্জনের এ ঘোষণা দেন। তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে রনি লেখেন, ‘অন্যসব প্রতিযোগীর মতো আমিও এই নির্বাচন বর্জন করলাম। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন টিভিতে দেখছিলাম, আর ২৮শে এপ্রিলের নির্বাচন চর্ম চোক্ষে দেখলাম। এও কি সম্ভব! ইয়েস, ‘রংগে ভরা বঙ্গে সবই সম্ভব’। এর আগে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ঢাকার দুই সিটি এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জন করেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মেয়র প্রার্থী আবদুল্লাহ ক্বাফী এবং দক্ষিণে বজলুর রশীদ ফিরোজ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সরকারি দলের নেতাকর্মীরা দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ জাতীয় পার্টি সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন। সকাল ৯টায় লালবাগের আমলীগোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট প্রদান শেষে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারেনি।
কলঙ্কজনক ভোট বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। তবে সবকিছু এত খোলামেলা হওয়ার ঘটনা সম্ভবত এবারই প্রথম। একদিনের বাদশারা তাদের রায় দিতে পারবেন কি-না তা নিয়ে আগেই শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। আশঙ্কা ছিল, নজিরবিহীন ভোটের। ভোট নজিরবিহীনই হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, মঙ্গলবার কোন মঙ্গল বয়ে আনেনি। গায়েবি ভোটের উৎসবে ম্লান হয়েছে গণতন্ত্র। বেশির ভাগ মানুষই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। এ নিয়ে বেশি বলাও অবশ্য মুশকিল। কিছু কিছু পত্রিকা বলেছিল, এ নির্বাচন হবে গণতন্ত্রের অগ্নিপরীক্ষা। পরীক্ষা শেষে বলা যায়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র আরও একবার পরাজিত হয়েছে।
নির্বাচন বর্জন করলেন যারা-
২০দলীয় জোট ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি, জোনায়েদ সাকীও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলও ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এছাড়া, জাতীয় পার্টির সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন সমর্থিত মেয়রপ্রার্থীরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। ব্যাপক কারচুপি ও সরকারসমর্থিত প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্র দখলের প্রতিবাদে এই ঘোষণা দিয়েছেন তারা। গতকাল দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই বর্জনের ঘোষণা দেন মেয়রপ্রার্থীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়রপ্রার্থী মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়রপ্রার্থী আলহাজ আব্দুর রহমান, সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, কেএম আতিকুর রহমান প্রমুখ। প্রার্থীরা বলেন, ভোটগ্রহণ শুরুর পর বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্ট বের করে দেয়া, জালভোট প্রদান ও ভোটকেন্দ্র দখল করে সরকারদলীয় প্রার্থীদের ভোট প্রদানসহ নানা অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে। এহেন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের পরিবেশ বিনষ্ট হয়ে গেছে বলে আমরা মনে করছি। এ প্রহসনের নির্বাচনকে আমরা মেনে নিতে পারি না। তাই আমরা এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি। চট্টগ্রাম থেকেও আমাদের মেয়র প্রার্থী ওয়ায়েজ হোসেন ভূঁইয়া নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী না নামিয়ে সরকারসমর্থিত প্রার্থীদের ভোট ডাকাতির সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা এ নির্বাচন বর্জন করছি এবং এ নির্বাচন বাতিল করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে বিরোধী জোটের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা আসার পর ঢাকা উত্তরের মেয়রপ্রার্থী জোনায়েদ সাকীও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল দুপুরে নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। সাকী বলেন, যেভাবে কেন্দ্র দখল করা হয়েছে, ব্যালট ছিনতাই করা হয়েছে তাতে এই ভোট ও ফল মেনে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। এ কারণে আমি নির্বাচন ও ফল প্রত্যাখ্যান করছি। এছাড়া ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি। বিকাল তিনটার দিকে তিনি নির্বাচন বর্জনের এ ঘোষণা দেন। তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে রনি লেখেন, ‘অন্যসব প্রতিযোগীর মতো আমিও এই নির্বাচন বর্জন করলাম। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন টিভিতে দেখছিলাম, আর ২৮শে এপ্রিলের নির্বাচন চর্ম চোক্ষে দেখলাম। এও কি সম্ভব! ইয়েস, ‘রংগে ভরা বঙ্গে সবই সম্ভব’। এর আগে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ঢাকার দুই সিটি এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জন করেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মেয়র প্রার্থী আবদুল্লাহ ক্বাফী এবং দক্ষিণে বজলুর রশীদ ফিরোজ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সরকারি দলের নেতাকর্মীরা দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ জাতীয় পার্টি সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন। সকাল ৯টায় লালবাগের আমলীগোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট প্রদান শেষে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারেনি।