ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেয়া বন্ধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আদালত বলেছেন, এরপর থেকে ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিবহন করলে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এছাড়া রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে মহিউদ্দিন রনির অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। হাইকোর্ট একই বেঞ্চকে এ তথ্য জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
হাইকোর্ট বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে মানুষ টিকিট কাটে; আর অন্যদিকে কালোবাজারি হয়। এ সময় রেল কর্মকর্তারা ব্যর্থতা স্বীকার করে, তাদের লোকবল সংকটের অজুহাত দেন। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, এসব অজুহাত দিয়ে প্রশাসন কীভাবে চালাবেন।
অতিরিক্ত যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে, সেটি রেলের কর্মকর্তা জালিয়াতি করে এমন অভিযোগ করেছেন হাইকোর্ট।
এদিকে ভুয়া ই-টিকেটিং সিস্টেমের অভিযোগ তুলে ঈদুল আজহার আগে থেকেই বাংলাদেশ রেলওয়ের কথিত অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন ঢাবির থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মহিউদ্দিন রনি।
পরে রনির অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার (২০ জুলাই) বেলা ১১টায় রাজধানীর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কার্যালয়ে এ বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানি শেষে রেলের টিকিট বিক্রিতে অব্যবস্থাপনা প্রমাণ হওয়ায় সহজ ডটকমকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিদফতর। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
শুনানিকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, মহিউদ্দিন রনির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সহজ ডটকমের অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। এ কারণে সহজ ডটকমকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানার পুরো অর্থের ২৫ শতাংশ মহিউদ্দিন রনি পাবেন বলেও জানান ভোক্তা অধিদফতরের পরিচালক। এ রায়ে রনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে সহজের আইনজীবী মির্জা রাগিব হাসনাত জানান, এ রায়ের সঙ্গে তারা একমত নন। এ রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হবে।