চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ছিল। তবে মাঝামাঝি পর্যায়ে এসে হঠাৎ মূল্যবান ধাতুটির দর কমেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের মূল্য নিম্নমুখী রয়েছে। নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতির চাপের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সুদের হার বৃদ্ধি গ্রাহকদের কাছে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুর আবেদন কমিয়েছে।
কিটকো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববাজারে এখন প্রতি আউন্স স্বর্ণ ১,৭০০ ডলারের আশেপাশে বিক্রি হচ্ছে।
এএনজেডের জ্যেষ্ঠ কম্মোডিটি স্ট্র্যাটেজিস্ট ড্যানিয়েল হেইন্স বলেন, গত ১১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে দামি ধাতুটির দাম। কারণ, এখন সবাই ডলারের দিকে ঝুঁকছেন। ইতোমধ্যে মার্কিন মুদ্রার মান সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। বর্তমানে এতে বিনিয়োগ নিরাপদ মনে করছেন লোকজন।
জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (১৭ জুলাই) প্রতিবেশি দেশ ভারতে ২৪-ক্যারট (১০ গ্রাম) স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৫০ হাজার ৪০০ রুপিতে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বর্তমানে এদেশে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৭৮ হাজার ৩৮২ টাকায়।
দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সময় যত গড়াচ্ছে বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের সরবরাহ তত কমছে। তবু নিরাপদ সম্পদ হিসেবে তাতে আস্থা রাখছেন লোকজন।
ঋদ্ধিসিদ্ধি বুলিয়নের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পৃথ্বীরাজ কোঠারি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) কঠোর মু্দ্রানীতি স্বর্ণের দামে আঘাত হেনেছে। ফলে দিনের পর দিন মূল্যবান ধাতুটির দরপতন ঘটছে।
সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সামনে বড় আকারে সুদের হার বাড়াতে পারে ফেড। এতে অন্যতম আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলারের দর একটু কমলেও ঊর্ধ্বমুখীই রয়েছে। ফলে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দরে নিম্নমুখিতা দেখা গেছে।