হার্ট অ্যাটাকের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বেশিরভাগ মানুষ এটি নিয়ে সতর্ক নয়। আগে থেকে জানা না থাকার কারণে শরীরে বিভিন্ন লক্ষণ দেখেও মানুষ বুঝতে পারে না। বিশেষজ্ঞদের মতে সারা শরীরের মতো আমাদের হৃৎপিণ্ডেরও প্রয়োজন হয় রক্তের। তিনটি রক্তবাহী নালীর মাধ্যমে রক্ত হার্টে পৌঁছায়। সেই নালীতে কোনো কারণে ব্লক হলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এই সমস্যাকেই আমরা হার্ট অ্যাটাক নামে চিনি।
বর্তমানে হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এই সমস্যার পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করে। তাই প্রত্যেককে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে মনোযোগী হতে হবে। তাতে সুস্থ থাকা সহজ হবে।
কোন বয়সে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি?
আরও আগে ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সের দিকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকতো কারও কারও। তবে এখন অনেক কম বয়সেই মানুষ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হচ্ছেন। বর্তমানে বয়স চল্লিশ পার হওয়ার আগেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। নিয়মিত ধূমপান, ডুবো তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত ওজন এর জন্য দায়ী হতে পারে।
যেসব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন
* বুকে ব্যথা হয়। বুকের মাঝে অথবা বাম দিকে ব্যথা হয়।
* ব্যথা আসে বাম হাত হয়ে চোয়ালের দিকে।
* ঘাম হতে পারে।
* আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন।
এই ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। কারণ এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে প্রতিটি মুহূর্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যেতে হবে। সেইসঙ্গে হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে খেয়াল রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান। প্রতিদিন রুটিন মেনে চলুন। ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন।