পদ্মা সেতুতে গ্যাস সিলিন্ডারবাহী একটি পিকআপ ভ্যান উল্টে দুইজন নিহত হয়েছে। এছাড়া গুরুতর একজনসহ মোট চারজন আহত হয়েছেন।
রোববার (১৭ জুলাই) রাত ১০ টার দিকে পদ্মা সেতুর ১৫ ও ১৬ নম্বর খুঁটির মাঝমাঝি স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- রাজু খন্দকার (৪৫) ও মো. কাউসার(২৩)। এছাড়া আহত মুক্তা আক্তার (২৫), ফাতেমা খন্দকার (দেড় বছর) ও ওমর ফারুককে (৪৭) গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মিডফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পদ্মা সেতুর উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আলমগীর হোসেন জানান, রাত ১০টার দিকে পদ্মা সেতুর ১৫ ও ১৬ নম্বর খুঁটির মাঝমাঝি স্থানে ঢাকাগামী একটি খালি গ্যাস সিলিন্ডারবাহী পিকআপ ভ্যান উল্টে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে দুইজন নিহত হয়। এছাড়া গুরুত্বর একজনসহ মোট চারজন আহত হয়। তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসাদুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে জানান, দুর্ঘটনার পরপরই তাদেরকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। আহত চারজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পিকআপটির চালক মিরাজ জানান, পিকআপে থাকা হেলপার ছাড়াও পিকআপটির মালিক আনোয়ার হোসেনের ভাই রাজিব খন্দকার নিহত হয়েছেন। রাজিবের স্ত্রী মুক্তা ও তাদের ১০ মাসের জমজ কন্যাসন্তানদের গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল ম্যানেজার হাসিফ হোসেন জানান, রেকার নিয়ে পিকআপ ভ্যানটি উত্তর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ঢাকামুখী এবং উল্টো পথে রেকার যাওয়ার কারণে আধা ঘণ্টা পুরো সেতুতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে যানজট তৈরি হলেও এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ওসি আলমগীর আরও জানান, গাড়িতে ৮৫টি অক্সিজেনের খালি সিলিন্ডার ছিলো। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি এবং সিলিন্ডারগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।