কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নে এক পুত্রবধূ তার শাশুড়িকে হত্যার পর টুকরা টুকরা করে বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা দিয়েছেন। এ ঘটনার এক দিন পর ছেলে বাড়ির পাশ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রোববার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ওই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম উমখালী হাজিরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পুত্রবধূকে আটক করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের শিকার মমতাজ বেগম (৬০) ওই এলাকার মৃত আবদুল কাদেরের স্ত্রী। পুত্রবধূ রাশেদা নিহতের আপন ভাতিজি।
নিহতের ছেলে আলমগীর বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তার স্ত্রী রাশেদা বেগমের সঙ্গে মায়ের মনোমালিন্য চলছিল। এরই জের ধরে শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেলে রাশেদা তার শাশুড়িকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। পরে ছয় টুকরা করে বাড়ির আঙিনায় গর্ত করে পুঁতে রাখেন।
তিনি আরও জানান, শনিবার থেকে বাড়িতে মাকে না দেখে স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে মা বাড়ি থেকে চলে গেছেন বলে জানান রাশেদা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মায়ের ছবি পোস্ট করে সন্ধান করা হচ্ছিল। তবে আজ রোববার বিকেল ৫টার দিকে বাড়ির পাশে মাটি উঁচু দেখতে পাওয়া যায়। পরে ওই স্থানে মাটি খুঁড়তেই মায়ের শাড়ি ও মৃতদেহ দেখতে পান। এ সময় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
রামু থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী জানান, প্রাথমিকভাবে শাশুড়িকে খুনের দায় স্বীকার করেছেন রাশেদা বেগম। খুনের পর মরদেহ টুকরা করা হয়েছে। এ সময় মাথা, দুই হাত এবং দুই পা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।