ত্রিশাল (ময়মনসিংহ): অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাচ্ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তাদের সঙ্গে ছিল ছয় বছরের মেয়ে শিশু। সড়ক পার হতে গিয়ে তাদের চাপা দেয় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় তিনজন। তবে ৮ মাসের অন্তসত্ত্বা রত্না বেগম নিহত হলেও তার পেট ফেটে সন্তান বের হয়ে আসে।
ওই নবজাতক এখন বেঁচে আছে। তবে দুর্ঘটনায় তার ডান হাত ভেঙে গেছে। নবজাতকের চিকিৎসা চলছে ময়মনসিংহের কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল পৌর শহরের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৪০) ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের রায়মনি গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রী রত্না বেগমের বয়স ৩০ বছর। তাদের ছয় বছরের মেয়ে সানজিদাও নিহত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী তাজ ও মাহী এন্টারপ্রাইজের একটি মালবাহী ট্রাক রাস্তা পারাপারের সময় তাদের চাপা দেয়। এ সময় অন্তঃসত্ত্বা রত্না বেগমের পেট ফেটে সন্তান বের হয়ে যায়।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন মারা গেছে। গাড়ি চাপায় ভূমিষ্ঠ নবজাতক সুস্থ রয়েছে। চালক পালিয়ে গেছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’