বরিশালসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কিছু নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেইজ রিডার কার্যালয় সূত্র গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সূত্র আরও জানায়, ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার, দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর বিপৎসীমা ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বরগুনার বিশখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটার বিষখালি নদীর পানি ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে ঝালকাঠির বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার এবং পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল সূত্র জানায়, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের মোট ২৩টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভাগের অনেক নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
এদিকে কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় বরিশাল নগরের নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা পানির তলিয়ে গেছে। নগরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কেও নদীর পানি উঠে গেছে।
হাটখোলা এলাকার আরেক বাসিন্দা বলেন, আমার বাসার সামনে দুপুরের পর থেকেই পানি ওঠা শুরু করে। সন্ধ্যার পর্যন্ত পানি নামেনি। অনেকে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন। আমাদের পার্শ্ববর্তী রসূলপুর এলাকায়ও অনেক পানি উঠেছে।