পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের আগমন বেড়েই চলেছে। তবে পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর ঈদের লম্বা ছুটিতে যেন পা ফেলার জায়গা নেই সৈকতে। অগ্রীম বুকিং হয়ে গেছে সকল হোটেল-মোটেলগুলো।
১২ ও ১৩ জুলাই কুয়াকাটাতে ঘুরতে এসে যারা থাকার জন্য রুম বুকিং করেছেন তাদের বেশিরভাগই অতিরিক্ত ভাড়া কিংবা কোথাও রুম না পাওয়ার মতো বিড়ম্বনায় পড়েছেন।
তাই এই পুরো সপ্তাহজুড়ে কুয়াকাটায় আসার আগে অগ্রীম রুম বুকিং দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার।
তুষার জানান, ঈদের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন পর্যটকদের দেখা না মিললেও ১২ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বেশিরভাগ হোটেল রিসোর্ট অগ্রীম বুকিং হয়ে গেছে। তাই এই সময়ের মধ্যে কুয়াকাটায় এলে অবশ্যই অগ্রীম বুকিং দিয়ে আসার পরামর্শ থাকবে পর্যটকদের। তাহলে বিড়ম্বনার সম্ভাবনা থাকবে না।
কুয়াকাটা ট্যুর ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির জানান, যখন কুয়াকাটায় অতিরিক্ত পর্যটকদের চাপ থাকে তখন কিছু অসাধু হোটেল ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত টাকায় রুম ভাড়া দেওয়ার আসায় থাকেন। যখন কেউ রুম বুকিং না দিয়ে এখানে চলে আসেন তখন ওই অসাধু লোকগুলো সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় রুম বুকিং দেন। অগ্রীম বুকিং দিয়ে এলে এই সমস্যা আর হয় না।
কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি কেএম বাচ্চু জাগো নিউজকে জানান, গত দুইদিন অনেক পর্যটক রুম না পেয়ে ফিরে গেছেন, আবার অনেকে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে রুমের খোঁজে ছিলেন। কেউ কেউ আবার কাছাকাছি বাসাবাড়িতেও রাত কাটিয়েছেন। তাই অতিরিক্ত চাপের সময়টাতে অগ্রীম বুকিং দিলে এই ভোগান্তির স্বীকার হতে হবে না।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি শাহ-আলম হাওলাদার জানান, পদ্মা সেতু উদ্ভোদনের পর হঠাৎ পর্যটকদের চাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে বড় বড় বিনিয়োগকারীরা তাদের স্থাপনা তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন। আগামী মৌসুমের আগে পর্যটকদের ধারণক্ষমতা বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ হবে সেই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।