টোয়েন্টি২০ ফরম্যাটে সবাই সমান। মাশরাফির বিশ্বাসও তাই। বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, দুই দল সমান অবস্থানে আছে। আমরা খুব বেশী ম্যাচ খেলিনি। বড় দলগুলোর সঙ্গে তেমন কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। তার পরও আমার বিশ্বাস, আমরা সমান অবস্থানে আছি। আমরা ওয়ানডেতে যেভাবে খেলেছি সেভাবে খেলতে পারলে জয় সম্ভব।’
ওয়ানডে সিরিজজয়ী মাশরাফি আত্মবিশ্বাসী। কারণ এখন সবাই ভাল খেলছে। তবে ম্যাচের শুরুটাই জয়-পরাজয়ের গতিপথ রচনা করে দেবে। বলেছেন, ‘আমরা যদি ম্যাচের শুরুটা ভাল করতে পারি, তবে আমাদের ম্যাচটি ভালই হবে।’
টোয়েন্টি২০ ভার্সনের অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি আশার কথা বলেছেন। তবে যথেষ্ট সমীহ করেই বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এই মুহূর্তে খুব ভাল ক্রিকেট খেলছে। বিশ্বকাপে ভাল খেলার ধারাবাহিকতা তারা অব্যাহত রেখেছে। তারা একটি পূর্ণাঙ্গ ইউনিট হিসেবে মাঠে নামছে এবং জয়ের ছন্দে আছে। তবে টোয়েন্টি২০ ম্যাচ যে কোনো দলের ম্যাচ।’
ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পরও ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ের কথা আফ্রিদির মুখে, ‘পাকিস্তানে বর্তমানে ৩-৪ জন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় নেই। তাই কিছু সমস্যা হচ্ছে। তবে নতুন প্রতিভা নিয়ে নতুন একটি দল নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে। পূর্ণাঙ্গ একটি ইউনিট হতে তাদের একটু সময় লাগবে। কয়েক মাসের মধ্যে পাকিস্তান শক্তিশালী দল হিসেবে ঘুরে দাঁড়াবে।’
আর টোয়েন্টি২০ দল নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘নতুন দিন, নতুন ম্যাচ। আমি, সোহেল তানভির দলে ফিরছি। আজমল আছেন, আছেন হাফিজও। আমার বিশ্বাস, আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ ইউনিট হিসেবে মাঠে খেলব।’
বাংলাদেশ-পাকিস্তান টোটাল সিরিজে মাত্র একটি টোয়েন্টি২০ ম্যাচ। ২০০৬ সাল থেকে শুরু করে বাংলাদেশ এখন অবধি টোয়েন্টি২০ ম্যাচ খেলেছে ৪১টি। জিতেছে মাত্র ১১টি। বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ১৯০ রান তুলেছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০০৭ সালে ১৬৫ রান চেজ করে ওয়স্ট ইন্ডিজকে হারানোর মতো গৌরবও রয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের হার ৭-এ ৭। যেখানেই খেলেছে, সেখানেই হেরেছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ টোয়েন্টি২০ ম্যাচে (আইসিসি বিশ্বকাপ) বাংলাদেশ ৫০ রানের ব্যবধানে হেরেছিল। পাকিস্তানের ১৯০ রানের পর বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান তুলেছিল। ওই ম্যাচে গুল-হাফিজ-আফ্রিদি-বাবর বাংলাদেশকে এর বেশী রান তুলতে দেয়নি। এরা সবাই কিন্তু শুক্রবার পাকিস্তানের হয়ে খেলছেন।
বাংলাদেশ পাকিস্তানকে যেভাবে ওয়ানডে সিরিজে নাস্তানাবুদ করেছে, যেভাবে মারমার কাটকাট ব্যাটিং করেছে, দায়িত্ব নিয়ে বোলাররা বোলিং করেছেন, তাতে নতুন আলোর সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ। তামিম-সৌম্য-মুশফিকদের শারীরিক ভাষা বদলে গেছে। তারা হাফিজ-গুল-আজমল-বাবরকে আর সমীহ করছেন না। মাশরাফি-রুবেল-সানি-সাকিবরা বল হাতে জাগরণের গান তুলছেন। মিলে যাচ্ছে বল-ব্যাটের তাল আর লয়। ফলে সেখানেই অনুপ্রেরণা খুঁজছে বাংলাদেশ নতুন কিছু করার।
তবে এই ম্যাচে নিয়ে বাংলাদেশ-পাকিস্তান দুই শিবিরেই খানিকটা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ঝড়ো আবাহাওয়া। বৃহস্পতিবার ঢাকার বুকে বয়ে যাওয়া ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টিতে সিক্ত হয়েছে মিরপুরের মাঠ। শুক্রবার ম্যাচটি মাঠে গড়ানো নিয়ে খানিকটা শঙ্কা থাকছেই। কেননা, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে পরবর্তী ১৮ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকার উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবাহাওয়া অফিস।