রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দুই বছরেও দাখিল হয়নি তদন্ত প্রতিবেদন

জাতীয় সারাদেশ
  : পেরিয়ে যাচ্ছে সাভারে রানা প্লাজা ধসের দুই বছর। রানা প্লাজা ধসে ‘১১৩৪’ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনে করা হয়েছে দুটি মামলা। মামলা দুটির দুই বছরেও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় শুরু হয়নি চাঞ্চল্যকর মামলার বিচার।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর বলেন, ‘মামলা দুটির তদন্তের কাজ শেষ করেছি। খুব দ্রুত আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করব।’

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল সাভার থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। একটি হল অবহেলাজনিত মৃত্যু চিহ্নিত করে পুলিশের হত্যা মামলা। অপরটি হল ইমারত নির্মাণ লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণ করায় রাজউকের ইমারত আইনে দায়ের করা মামলা। মামলা দুটি সিআইডি তদন্ত করছে।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সাভার থানার এসআই ওয়ালী আশরাফ ‘১১৩৪’ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভবন মালিক মো. সোহেল রানাসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে একটি অবহেলাজনিত হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন— আব্দুল খালেক ওরফে খালেক কুলু, মোহাম্মদ আলী খান, রেফাত উল্লাহ, আবুল হাসান, অনিল কুমার দাস, শাহ আলম মিঠু, এমায়েত হোসেন, রাকিবুল ইসলাম, আলম মিয়া, বজলুল সামাদ আদনান, মাহমুদুর রহমান, সোহেল রানা, আমিনুল ইসলাম, আনিছুর রহমান, আমিনুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক খান, আলমগীর, রাসেল মধু ও সরোয়ার।

একই দিনে ইমারত নির্মাণ আইন না মেনে ভবন নির্মাণ করায় রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন ১৩ জনকে আসামি করে সাভার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন— মোহাম্মদ আলী খান, এনায়েত হোসেন, আব্দুল খালেক, রেফাত উল্লাহ, বজলুল সামাদ আদনান, মাহমুদুর রহমান, সোহেল রানা, রফিকুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, আনিছুর রহমান, রফিকুল ইসলাম ও সরোয়ার কামাল।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। এ সময় ভবনের নিচে চাপা পড়েন সাড়ে পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। এ বিপর্যয়ে ১ হাজার ১৩৪ জনের লাশ উদ্ধার হয়। আহত ও পঙ্গু হন প্রায় দুই হাজার মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ২৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *