শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে বুধবারই পদত্যাগ করছেন। এদিন তিনি পার্লামেন্ট স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। এছাড়া আগামী মার্চের আগেই প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন আগামী মার্চের আগেই অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শনিবার বিকেলে সিনিয়র একটি রাজনৈতিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে বলে রোববার খবর দিয়েছে শ্রীলঙ্কার জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক ডেইলি মিরর।
খবরে বলা হয়েছে, শনিবার স্পিকার ঘোষণা করেছিলেন যে বুধবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। তবে তা সত্ত্বেও একটা অনিশ্চয়তা বিরাজ করছিল যে সত্যিই কি তিনি পদত্যাগ করছেন?
কিন্তু শনিবারের ব্যাপক বিক্ষোভের পর প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের নেতৃত্বে এক আলোচনা সভায় সিদ্ধান্ত জানানো হয় যে রাজাপাকসে আগামী ১৩ জুলাই পদত্যাগ করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। পরে বিক্রমাসিংহে অথবা অন্য কেউ এ পদে শপথ নেবেন।
এদিকে প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে কোথায় আছেন, তা এখনো অজানা।
শনিবার বিকেলের অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিক্রমাসিংহে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছাকাছি (১১৫ সদস্যের) সমর্থন পেয়েছেন। অনেক সংসদ সদস্য তাকে তার দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। অনেকে তাকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণেরও আহ্বান জানান। সেইসাথে অর্থনৈতিক কঠিন দুরবস্থায় আইএমএফের সাথে আলোচনা চালিয়ে নেয়ার কথা বলেন।
অন্যদিকে বিরোধী নেতা সাজিত প্রেমাদাসাও শনিবারের ঘটনার পর পৃথক আরেকটি আলোচনার আয়োজন করেন। সেখানে তিনি ইঙ্গিত দেন যে যদি তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ডুল্লাস আল্লাহাপ্পেরুমাকে সমর্থন করবেন। তবে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাজিত সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হননি।
যদি বিক্রমাসিংহে দায়িত্ব চালিয়ে যান, তাহলে বুধবার গোতাবায়ার পদত্যাগের পর তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন এবং আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত তার দায়িত্ব পালন করে যাবেন। আইএমএফের সাথে অর্থনৈতিক চুক্তির ব্যাপারে কাজ চালিয়ে যাবেন।
আর যদি বিক্রমাসিংহে পদত্যাগ করেন তাহলে পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দ ইয়াপা আবেবর্ধনে বুধবার অস্থায়ী হিসেবে ৩০ দিনের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। পরে পার্লামেন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থনের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে।