মুসলিমদের কোনো উৎসবই নিছক উৎসব নয়; ইবাদতও বটে। ঈদুল আজহায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কোরবানি। কোরবানিতে যেমন আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয় তেমনি এর আরেক উপকার হলো গরিব-দুখী ও পাড়া-প্রতিবেশীর আপ্যায়নের ব্যবস্থা হয়।
আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোরবানি করা পশুর গোশত ভাগ করার একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোরবানির পশুর গোশত ভাগ করার নিয়মও বলে দিয়েছেন।
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরবানির গোশত একভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়াতেন, একভাগ গরিব প্রতিবেশীদের দিতেন এবং একভাগ গরিব-মিসকিনদের দিতেন।
ইবন মাসঊদ রা. কোরবানির গোশত তিনভাগ করে একভাগ নিজেরা খেতেন, একভাগ যাকে চাইতেন তাকে খাওয়াতেন এবং একভাগ ফকির-মিসকিনকে দিতেন বলে উল্লেখ রয়েছে।
কোরবানির গোশত আত্মীয় ও গরিবদের মাঝে বিতরণ না করাটা খুবই গর্হিত কাজ। এতে কৃপণতা প্রকাশ পায়। কারণ কোরবানির মাধ্যমে কোরবানিদাতা অহংকার থেকে নিরাপদ থাকেন এবং তার অন্তর পরিশুদ্ধ থাকে।
আল্লাহ তায়ালাও এটাই চান, বলেছেনও তাই- (মনে রেখো, কুরবানির জন্তুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনই পৌঁছে না; বরং তার কাছে কেবলমাত্র তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে। (সূরা হজ : ৩৭)
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে কোরবানি করার তাওফিক দান করুন।