প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে যেন বাড়ি ফেরার যুদ্ধ। একদিকে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে স্টেশনে দীর্ঘ অপেক্ষা; অন্যদিকে টিকিট কেটেও ট্রেনে ওঠতে না পারার যন্ত্রণা। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকে। এর মধ্যে ঈদের আগের দিন শনিবার (৯ জুলাই) দেখা গেলো বাড়ি ফিরতে টিকিট ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে ওঠছেন হাজার হাজার যাত্রী।
বাড়ি ফেরার যুদ্ধ যেন প্রতিটি যাত্রীর। নিজে ওঠতে পারলেন তো স্ত্রী-সন্তান রয়ে যাচ্ছে প্ল্যাটফর্মে। কাজেই আবার নেমে পড়া! এ ভোগান্তি টিকিট ছাড়া যাত্রীদের কারণে, অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
একজন বললেন, টিকিট থাকা সত্ত্বেও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ট্রেনে ওঠতে পারলাম না। এ অবস্থা হলে টিকিট কেটে লাভ কী?
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ট্রেনের দেখা মিলতেই হুড়োহুড়ি শুরু হয় অপেক্ষমাণ যাত্রীদের। দরজা-জানালা, যে যেভাবে পারছেন, চেষ্টা করছেন ট্রেনে ওঠার। কেউবা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন দুই বগির মাঝে কিংবা ওঠেছেন ছাদে।
তবে এ ভোগান্তি শেষেও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে পারবেন বলে আনন্দিত অনেকে।
ঘরমুখোরা বলছেন, প্রতিটি ট্রেনেই কয়েক ঘণ্টা করে শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত বাড়ি পৌঁছাতে পারলেই স্বস্তি।
শুধু ট্রেনে ওঠতে পারাই নয়, শুক্রবার (৮ জুলাই) দিনভর ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ে অসংখ্য যাত্রীর দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ। নির্ধারিত সময়ের আগে এসে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পরও দেখা মিলছে না ট্রেনের।
যাত্রীরা বলছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড়ের কারণেই এ শিডিউল বিপর্যয়।
বিমানবন্দর রেল স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মো. হালিমুজ্জামান বলেন, যাত্রীদের কারণেই এ শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে। তারা বিভিন্ন স্টেশনে নামতে এবং ওঠতে সময় বেশি নিচ্ছেন। আর টিকিট কেটেও যারা যেতে পারেননি, তাদের পরবর্তী ট্রেনে ওঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।