ক্যারিবীয় সফল শেষে বিশ্রাম পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। দেশে ফেরার পর আবার রওনা দেবেন জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে। চলতি মাসের শেষে যেখানে সমান তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে টাইগাররা। সফরে পূর্ণশক্তির দল গেলেও শুধু বিশ্রামে থাকবেন টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (০৭ জুলাই) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিসিবিতে নির্বাচকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জালাল বলেন, ‘জিম্বাবুয়েতে পূর্ণ শক্তির দল যাবে। হয়তো পয়েন্টের খেলা নয়, চ্যাম্পিয়নশিপ বা সুপার লিগ নয়, কিন্তু সিরিজটি গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। আমরা সেখানে যেন ভালো পারফরম্যান্স করতে পারি। অনেকে বলেছিল, দ্বিতীয় সারির দল। দ্বিতীয় সারির দল যাচ্ছে না, আমরা শক্ত বাংলাদেশ দল পাঠাতে চাই।’
এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে থাকলেও ওয়ানডে সিরিজে থাকা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে সাকিব আল হাসানের। ৫০ ওভারের সিরিজটি সুপার লিগের অংশ না হওয়ায় ম্যাচগুলো তার না খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। বিসিবি অবশ্য এ বিষয়ে তাকে জোর করছে না। খেলা না খেলা ছেড়ে দিয়েছেন তার ইচ্ছের ওপরে। অবশ্য একই কারণে বোর্ড চায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সিনিয়রদের বিশ্রাম দিতে। কিন্তু সাকিব বাদে সবাই খেলতে চান সেখানে।
এ বিষয়ে জালাল বলেন, ‘সিনিয়র খেলোয়াড়ের বেশির ভাগই অ্যাভেইলেবল। তারা সবাই খেলতে চান। সাকিব যাচ্ছেন না, এটা আগেই আমাদের জানিয়েছেন। আজ নির্বাচকদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। তারা একটা দল চূড়ান্ত করছেন। যে দল এখন আছে, তাদের সবাই থাকছেন।’
এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে এক সপ্তাহের মতো সময় পাবে বাংলাদেশ। এরপর ২২ জুলাই জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে রওনা দেবেন টাইগাররা। সেখানে পৌঁছে দিন পাঁচ এক অনুশীলন করে ২৫ জুলাই একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তামিম বাহিনী। এরপর ৩০ জুলাই সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হবে দু’দল। দ্বিতীয় ম্যাচ ৩১ জুলাই আর ২ আগস্ট মাঠে গড়াবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি।
এরপর দুই দিনের বিরতি দিয়ে মাহমুদউইল্লাহর নেতৃত্বে আগামী ৫ আগস্ট প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এরপর ৭ ও ১০ আগস্ট সিরিজের বাকি দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে দেশের উদ্দেশে রওনা দেবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।