অবশেষে চাপের মুখে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিবিসি জানিয়েছে, টরি পার্টির প্রধান হিসেবে পদত্যাগ করবেন জনসন। তবে আগামী শরৎকাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে রয়টার্স বলছে, বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন জনসন।
সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন বরিস ও তার সরকার। করোনা লকডাউন চলাকালে সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিক মদের আসর বসিয়ে তিনি সমালোচনার জন্ম দেন। গত মাসে তার বিরুদ্ধে দলীয় আস্থাভোট আনা হলেও তাতে পার পেয়ে যান বরিস।
তবে দলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয় ডেপুটি চিফ হুইপ হিসেবে ক্রিস পিনচারকে নিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার পর। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বরিস স্বীকার করেন, ক্রিস পিনচারের অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়টি তার জানা ছিল। তারপরও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ডেপুটি চিফ হুইপ করেন তিনি। এটি ছিল তার একটা ‘বাজে ভুল’ । বরিসের এই স্বীকারোক্তি তাকে চাপে ফেলে দিয়েছে।
মন্ত্রিসভা থেকে একের পর এক মন্ত্রী এবং শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তার পদত্যাগের পরিস্থিতিতেও প্রধানমন্ত্রী পদে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন জনসন।
বিবিসি জানায়, একদিনেই জনসন সরকারের মোট ১৬ মন্ত্রী-এমপি পদত্যাগ করেন। বুধবার সকাল পর্যন্ত পদত্যাগ করেন মন্ত্রীরাসহ সরকারের নানা পর্যায়ের আরও কমকর্তা। পদত্যাগের এই ঢেউ চলছেই। মঙ্গলবার থেকে এ পর্যন্ত মোট ২৭ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।