বৃহস্পতিবার থেকে শুরু পবিত্র হজ। এ বছর ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মুসলিমদের জন্য হজের নতুন লটারি পদ্ধতি চালু করে সৌদি আরব। নতুন এই পদ্ধতিতে অনেকেই ভোগান্তির শিকার হয়েছে।
গত জুন মাসে সৌদি আরবের হজ মন্ত্রনালয় ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা মহাদেশের প্রায় ৫০টি দেশের মুসলিমদের জন্য নতুন এক আবেদন পদ্ধতি চালু করে। এতে বলা হয়, সরকার নিয়ন্ত্রিত ওয়েবসাইট ‘মোতাউইফ’-এ একটি নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে হজের টিকিটের জন্য আবেদন করা যাবে।
ভুয়া এজেন্টদের হাত থেকে হজযাত্রীদের বাঁচাতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। এতে সুপরিচিত ও বহু বছর ধরে সেবা দেয়া হজ অপারেটরগুলো কাজ হারিয়েছে। অন্যদিকে বহু হজযাত্রী আগেই আবেদন করেছিল এসব অপারেটরদের মাধ্যমে। নতুন লটারি সিস্টেম চালুর পর তারা অপারেটরের মাধ্যমে আবেদন তুলে নিয়েছেন। কিন্তু অর্থ ফেরত পাননি।
এমনকি যারা নতুন লটারি সিস্টেমে আবেদন করেন, তারা অনেকেই বলছেন, আগের টিকিট সিস্টেমই ভালো ছিল। নতুন লটারি সিস্টেমে খরচ ন্যূনতম ছয় হাজার ইউরো (প্রায় ছয় লাখ টাকা)। আগে বিভিন্ন এজেন্সি বিভিন্ন রেটে প্যাকেজ ছাড়ত।
আবেদনকারী অনেকের অভিযোগ, অর্থ পরিশোধ করার পরও তাদের আবেদন নিশ্চিত হয়নি।
অভিযোগগুলোর মধ্যে আরো রয়েছে, পেমেন্ট পৌঁছায়নি, অথবা আবেদনের স্ট্যাটাস নিশ্চিত নয়, ফ্লাইট ও থাকার জায়গার তারিখে গরমিল, হুটহাট হোটেল পরিবর্তন ইত্যাদি। এমনকি কাস্টমার হটলাইনকে পাওয়া অসম্ভব বলে মন্তব্য করছেন অনেকে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ হিসেবে স্বীকৃত হজে এবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লাখের মতো মুসলমান অংশ নেবেন। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্ব একেবারে করোনামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত হজও হয়তো আগের মতো বিশাল আয়োজনে ফিরবে না।
এছাড়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে শুধু সৌদি এয়ারলাইন্সে চড়ে হজযাত্রীরা সেখানে যেতে পারবেন।
করোনা মহামারীর কারণে হজ পালনকারীদের সংখ্যা কমিয়ে এনেছিল সৌদি আরব। যেখানে মহামারীর আগে ২০১৯ সালে প্রায় ২৫ লাখ মুসলিম হজ পালন করেছে, সেখানে ২০২০ সালে মাত্র এক হাজার জন হজ পালন করেন। ২০২১ সালে সংখ্যাটি বাড়িয়ে ৬০ হাজার করা হয়। এ বছর প্রায় ১০ লাখ লোক হজ পালন করবেন।