নারায়ণগঞ্জ: ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি লাগবে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের (নারায়ণগঞ্জ অংশে ৪০ কিলোমিটার) পাঁচ শতাধিক পুলিশ, আনসার ও কমিউনিটি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রামুড়া, তারাব, বরাব, রূপসী, কর্ণগোপ, ভুলতা, পাচরুখী এলাকা পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ৩৫টি টিম কাজ করছেন।
মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ সড়কে যানবাহনের চাপ একটু বেশি। বিশেষ করে যাত্রীবাহী বাস মিনিবাস ও প্রাইভেটকার চলাচল করছে বেশি। তবে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে একটু ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
এছাড়া পণ্যবাহী যানবাহনের চাপও লক্ষ্য করা গেছে বেশি। যানজট এড়াতে সড়কের প্রতিটি পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।
কথা হয় হাবিবুর রহমান হাবিব নামে এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি জানান, গত দু’বছর করোনা সংক্রমণের জন্য ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়িতে যেতে পারেননি। এবার পরিস্থিতি ভালো থাকায় তিন দিন আগেই গ্রামে চলে যাচ্ছি। এবার মহাসড়কে দেখলাম অনেক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আশা করছি এবার স্বাচ্ছন্দেই গ্রামে যেতে পারবো।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি লাগবে আমরা ২৪ ঘণ্টা ৩৫টি টিম কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি আনসার ও কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে। এছাড়া মহাসড়কে যেকোনো গাড়ি বিকল হয়ে গেলে তা সরানোর জন্য দু’টি রেকার প্রস্তুত করে রেখেছি। অন্যান্য ঈদের ন্যায় এবার যানজট নেই। তবে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে একটু ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আহমেদ খান বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক ও এটি দেশের ইকোনমিক লাইফলাইন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ১৮২টি যানবাহন চলাচল করেছে।