প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একদিকে করোনার অভিঘাত, তার ওপরে এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। ফল পুরো বিশ্বেইি আজ যেমন তেলের দাম বেড়েছে। অনেক দেশেই এখন বিদ্যুতের হাহাকার। আমরা সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছিলাম এবং সবাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছিল। কিন্তু এখন আন্তর্জাতিক বাজারে বিদ্যুতের উৎপাদনের যে উপকরণগুলো সেগুলোর দাম অত্যধিক বেড়েছে।
আজ মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা সেনানিবাসে পিজিআর সদরদপ্তরে যুক্ত হন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশে যারা স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচারকাজ শুরু হয়েছিল, তাদেরকেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসানো হয়। তাছাড়া যারা জাতির পিতার হত্যাকারী তাদেরকেও বিচারের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারি করে তাদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।
সরকারপ্রধান বলেন, একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ৭৫ সালে আমি আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম। ৮১ সালে আমাকে দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। অনেকটা জোর করেই দেশে ফিরতে হয়েছিল। যেখানে খুনিদের রাজত্ব, যেখানে অপরাধীদের রাজত্ব। আমি জানতাম যেকোনো সময় তারা আমাকে মারতে পারে। আমি সেটা পরোয়া করিনি। আমি মানুষের জন্য ফিরে আসি।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদনের উপকরণগুলোর দাম অত্যধিক বেড়েছে। যেমন ডিজেলের দাম বেড়েছে, তেলের দাম বেড়েছে, এলএনজির দাম বেড়েছে। সব কিছুর দাম বেড়েছে। কয়লা এখন পাওয়া যায় না।
শেখ হাসিনা বলেন, ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে পরিবহনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আগের মতো জাহাজ চলাচল করতে পারছে না। শুধু আমাদের দেশে না, প্রত্যেকটা দেশেই এখন জিনিসের ঘাটতি। আমরা যদি একটু সাশ্রয় করে চলি, মিতব্যয়ী হই এবং নিজেরা নিজেদের সঞ্চয়টা বাড়াতে পারি তাতে যেকোনো সমস্যা মোকাবিলা করা যাবে।
তিনি বলেন, অনেক উন্নত দেশে কিন্তু দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে। আমাদের দেশের যাতে সে পরিস্থিতিতে পড়তে না হয় তাই এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। কোনো জলাধার যেন খালি না থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আবার করোনার একটু প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সেই সঙ্গে আমরা টিকা দিচ্ছি। টিকা দেওয়ার মঙ্গে সঙ্গে বুস্টার ডোজটাও নিতে হবে।