আকাশপথের যাত্রী বাদ দিলে ঈদযাত্রায় দেশের বাকি সব মানুষ বাড়ি ফেরেন সড়ক, রেল ও নৌপথে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ট্রেনের। ভোগান্তির দিক থেকেও এই যান ‘প্রথম’ অবস্থানে। অথচ সরকারি এ গণপরিবহনই হওয়ার কথা ছিল তুলনামূলক নিরাপদ, আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী।
এবারের ঈদে ট্রেনের টিকিট বিক্রির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার দিন (২২ জুন) চালু হয় বাংলাদেশ রেলওয়ের নতুন মোবাইলঅ্যাপ ‘রেলসেবা’। এই অ্যাপ তৈরি ও ব্যবস্থাপনার কাজ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেটিং পার্টনার ‘সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি’। কথা ছিল- এখন থেকে যাত্রীরা বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকেট ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ‘রেলসেবা’অ্যাপ ব্যবহার করে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। কিন্তু এই অ্যাপই খুঁজে পাচ্ছেন না যাত্রীরা। অনলাইনে টিকিট কিনতে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগের কমতি নেই। ওয়েব ও অ্যাপে টিকিট কিনতে ব্যর্থ যাত্রীরাও কাউন্টারের সামনে শুয়ে-বসে দিনাতিপাত করছেন। একই চিত্র ছিল গত ঈদেও। তখন অবশ্য অ্যাপ চালু হয়নি। এখনো একটি মাত্র টিকিটের জন্য দিনের পর দিন স্টেশনে অপেক্ষা। এ রকম নাজুক অবস্থা বিশ্বের অন্য কোনো দেশে আছে কিনা, তার কোনো দৃষ্টান্তও দিতে পারছেন না খোদ রেলের কর্মকর্তারা।
কেন এই অবস্থা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিবারই ‘সক্ষমতার ঘাটতি’র কথা বলা হয়। বলা হয়, চাহিদার তুলনায় টিকিট কম হওয়ার কথা। রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনও স্বীকার করেছেন, এবার অনলাইনে দুয়েকটি টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। গত ঈদে তা-ও ছিল না। সক্ষমতার ঘাটতির কারণে এই অবস্থা বলে দাবি রেলমন্ত্রীর।
রেলওয়ের তথ্যমতে, মোট টিকিটের অর্ধেক অনলাইনে, আর অর্ধেক কাউন্টারে। ঢাকা থেকে ৩৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয়েছে। মোট আসন ২৬ হাজার ৬১৩টি। এর অর্ধেক ঢাকার কমলাপুর স্টেশনসহ ৬টি স্থান থেকে বিক্রি করা হয়েছে। বাকি অর্ধেক বিক্রি করা হয়েছে ওয়েব ও অ্যাপে। গতকাল অনলাইনে ১২ হাজার ২৫টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। কাউন্টারে বিক্রি হয়েছে ১৩ হাজার ৩৬০টি টিকিট। টিকিটের জন্য সার্ভারে হিট হয়েছে ৭ কোটি ৩০ লাখ। গতকাল বিক্রি হয়েছে ৮ জুলাইয়ের টিকিট। আজ মিলবে ৯ জুলাইয়ের টিকিট। এর মধ্যে বেশি চাপ ছিল গতকাল। দুপুর ১২টার মধ্যে টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে যায়।
রেল কর্মকর্তারা জানান, অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাব এবং লোকোমোটিভ ও কোচ সংকটের কারণে কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পারছে না রেলওয়ে। বর্তমানে যাত্রীবাহী কোচের ভয়াবহ সংকট রয়েছে। রেলওয়েতে অনেক মিটারগেজ ও ব্রডগেজ কোচ আছে। কিন্তু এগুলোর ভারী মেরামত (সিডিউল জেনারেল ওভারহলিং-জিওএইচ) হয় না। যুক্তি হিসেবে রাজস্ব খাতে বরাদ্দের ঘাটতি ও জনবল স্বল্পতার কথা বলা হয়। কেবল পশ্চিমাঞ্চলেই ১২০টি ব্রডগেজ কোচ ও ১২৫টি মিটারগেজ কোচের অবস্থা খুবই খারাপ। অথচ রেলওয়েতে প্রতিবছর বিপুল অঙ্কের টাকা ব্যয় হচ্ছে।
সূত্রমতে, রেলে ব্যয় হয় দুই ধরনের। একটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে, অন্যটি অনুন্নয়ন খাতে অর্থাৎ রেল পরিচালনায় দৈনন্দিন খরচ। উন্নয়ন বাজেটের অধীনে থাকা বেশির ভাগ প্রকল্পই নতুন রেললাইন ও সেতু নির্মাণ, ইঞ্জিন-বগি ক্রয় এবং অবকাঠামো নির্মাণসংক্রান্ত। অনুন্নয়ন খাতে বেশিরভাগ ব্যয় হয় রক্ষণাবেক্ষণ ও বেতনভাতায়। ২০২১-২২ অর্থবছরে রেলের সংশোধিত বাজেট ১৬ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালন খাতে বরাদ্দ ৩ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা আর উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ১২ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা। অতীতের যে কোনো সরকারের তুলনায় রেলওয়ের উন্নয়নে বেশি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের পর ২০১১-১২ অর্থবছরে পরিচালন খাতে বরাদ্দ ছিল এক হাজার ৬০৩ কোটি টাকা। ৫ শতাংশ বেড়ে পরের বছর তা হয় এক হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। এর পর বাড়ে ১৩ দশমিক ২৯ শতাংশ। এভাবে পর্যায়ক্রমে ২৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ৭১ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ৭৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ৯৮ দশমিক ৬২ শতাংশ, ১২২ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং ১৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৭৭৯ কোটি ৯০ লাখ টাকায়। আর উন্নয়ন খাতে ২০১১-১২ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল দুই হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। এটি ৪৫৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকায়। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ২৪ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯০টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ৮২টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমান অর্থবছরে ৩৪টি বিনিয়োগ প্রকল্প এবং ৫টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প চলমান। কিন্তু লোকসান থেকে বের হতে পারছে না সংস্থাটি। অবশ্য লোকসান কমানোর চিন্তাও নেই। কর্মকর্তাদের যুক্তি- রেল রাষ্ট্রায়ত্ত সেবা খাত। লোকসান হলেও সমস্যা নেই। এমন মনোভাব পোষণের কারণে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের বিস্তর ফারাক। ট্রেন পরিচালনায় যাত্রীপ্রতি কিলোমিটারে খরচ হয় ২ টাকা ৪৩ পয়সা আর আয় হয়েছে মাত্র ৬২ পয়সা। রেলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কিলোমিটারে যাত্রীপ্রতি খরচ পৌনে তিন টাকা এবং আয় ৬২ পয়সা দেখানো হয়েছে। একই অর্থবছরে পণ্য পরিবহনে কিলোমিটারে টনপ্রতি খরচ ৮ টাকা ৯৪ পয়সা এবং আয় দেখানো হয় ৩ টাকা ১৮ পয়সা।
রেলওয়ের কর্মকর্তা, রেল নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে রেলের এ দূরাবস্থার পেছনে তিনটি বড় কারণ পাওয়া যায়। এগুলো হচ্ছে- দুর্নীতি, অদক্ষতা ও অপরিকল্পিত প্রকল্প। গত কয়েক বছরে রেলে যে পরিমাণ বিনিয়োগ ও প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়নের মতো দক্ষ কর্মকর্তার অভাব রয়েছে। আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে- যাত্রী সুবিধা বা আয়বর্ধক প্রকল্প না নিয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ কেনাকাটার প্রকল্প নেওয়া। এ ক্ষেত্রে রাজনীতিক, ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের ব্যক্তিস্বার্থ কাজ করেছে।
রেলের সেবা বাড়ানোয় কর্মকর্তাদের ন্যূনতম আগ্রহ দেখছেন না যাত্রীরা। এর একটি বড় দৃষ্টান্ত গতকাল দেখাল রেল কর্তৃপক্ষ। যাত্রার আগে কোচ তথা বগি বিকল হলে ১০৪ জন যাত্রী রেখেই ট্রেন চলে গেল গন্তব্যে। তাও আবার মন্ত্রীর নিজ জেলা পঞ্চগড়ে। গিয়ারের সমস্যার কারণে সংযোজন করতে না পারায় ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস ট্রেন গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি কোচ ছাড়াই ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যায়। বিকল্প বগি না থাকায় এ অবস্থা। ফলে ছেড়ে যাওয়া সেই কোচের যাত্রীরা যেতে না পেরে চরম ভোগান্তিতে পড়েন। এর আগে গতকাল সকাল ১০টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনের মাইকে ঘোষণা করতে শোনা যায়, আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘ট’ কোচ সংযোজন করা সম্ভব হয়নি। যেসব যাত্রী একতা ট্রেনের ‘ট’ কোচের টিকিট ক্রয় করেছিলেন, তাদের ৫ নম্বর কাউন্টারে টিকিট ফেরত দিয়ে সমপরিমাণ টাকা বুঝে নেওয়ার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘জীবন বড় নাকি যাওয়া বড়?’ নষ্ট কোচের বিকল্প নেই কেন- এমন প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘কোচ থাকলে আমরা দিতাম। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি দেওয়ার। আগামীকাল (আজ) থেকে কোনো কোচ রিপ্লেস ছাড়া যাবে না।’
ট্রেনের এই বগি সংকট কত বছরে দূর হবে, তার উত্তর দিতে পারেননি স্টেশন ম্যানেজার। পুরনো কোচ মেরামতের জন্য ওয়ার্কশপ উন্নয়নে নজর নেই। সেখানে যন্ত্রপাতি ও জনবল ঘাটতি দূর করতে আগ্রহ নেই সংশ্লিষ্টদের। নজর কেবল নতুন নতুন প্রকল্পে। চড়া সুদে কঠিন শর্তে ৭০টি ইঞ্জিন কেনার প্রকল্প ঝুলছে এক যুগ ধরে। আইএমইডি নিষেধ করলেও প্রকল্পটি আঁকড়ে ধরেছে একটি সিন্ডিকেট। আবার নিম্নমানের ইঞ্জিন-কোচ কেনার প্রবণতা তো আছেই। এর মধ্যে ১০টি লোকোমোটিভ কিনতে গিয়ে রোলিংস্টক বিভাগের কর্মকর্তা এবং ঠিকাদার মিলে দুর্নীতি করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে দুদক। একই অবস্থা কোচের ক্ষেত্রেও। সম্প্রতি সিলেটে কোচে আগুন ধরে যায়। এর আগেও এ রকম ঘটেছে। এর কারণ হিসেবে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, কোচ কেনায় স্পেসিফিকেশনে আপস করা। তবু অনিয়ম থেমে নেই। ২০০টি মিটারগেজ কোচ কেনা হবে সরবরাহকারীর ঋণে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেল বরাদ্দ পেলেও সঠিক পথে বিনিয়োগ করতে পারেনি। তাই ইডিসিএফ, দক্ষিণ কোরিয়ার ঋণে ১৫০টি কোচ, এডিবির অর্থায়নে অবশিষ্ট ২৪টি লোকোমোটিভ, ৭৫টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান এবং ৫৮০টি মিটারগেজ ও ৪২০টি ব্রডগেজ ওয়াগন কেনা হচ্ছে। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এর সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পৃক্ত। বর্তমানে কমলাপুর রেলস্টেশনে নতুন করে ট্রেন বাড়ানোর সুযোগ নেই। ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ডাবল লাইন আছে এখন। এটি তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন করতে হবে। এ প্রকল্পটি ঝুলে আছে সেতু কর্তৃপক্ষের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে। উড়ালসড়কের জটিলতা শেষ হলে রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ অগ্রসর হবে। তার মানে এখন চাইলেই কমলাপুর থেকে ট্রেন বাড়ানো যাচ্ছে না। স্বল্পমেয়াদি করণীয় হলো, ট্রেনের সঙ্গে কোচ বা বগি সংযোজন। প্রতি ট্রেনে অন্তত ৪-৫টি কোচ যুক্ত করা দরকার। বিশেষ করে এসি কোচের চাহিদা বেশি। কেবিন ও এসি কোচ গড়ে ট্রেনপ্রতি ২ থেকে ৩টি থাকে। কয়েকটি ট্রেনে বেশি আছে। আপাতত তেজগাঁও, বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্ট থেকে কিছু ট্রেন ছাড়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রেও যে সক্ষমতা দরকার, তা রেলওয়ের নেই। আবার গুরুত্বপূর্ণ রুটের ট্রেনের বগি কমিয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ রুটে পরিচালনার ঝোঁক আছে। যাত্রীর চাহিদা না থাকলেও ‘নিজের’ এলাকায় ট্রেন বৃদ্ধি ও রুটিন শিডিউল পরিবর্তনের ঘটনা ঘটেছে। আবার স্টেশনের নাম পরিবর্তনের কারণেও ওয়েবসাইট বা অ্যাপে ঢুকে যাত্রীরা গন্তব্য খুঁজে পাচ্ছেন না।
পঞ্চগড় যাবেন হাসনাইন নামের এক যাত্রী। তিনি কোনোভাবেই টিকিট কিনতে পারছিলেন না। কয়েক দিন পর জানতে পারলেন, তার স্টেশনের নাম বদলে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম’ হয়েছে। এসব ভোগান্তি তুচ্ছ হয়ে যায়, যখন দেখা যায় যে অনলাইনে টাকা কেটে রাখা হয়, কিন্তু টিকিট মেলে না। গত এক সপ্তাহে এমন অভিযোগ কয়েকটি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সর্বশেষ অভিযোগটি নাসিমুল ইসলাম শহীদুল্লাহর। দুবারের চেষ্টায় ৭ জুলাইয়ের ৩টি টিকিটের টাকা তিনি দিয়েছেন। তিনি টিকিট পেয়েছেন একটি। বাকি ৪৮০ টাকা ফেরত পাননি। টিকিটও পাননি। কোথায় অভিযোগ করলে প্রতিকার পাবেন, তাও জানতে পারছেন না।
কালোবাজারি বন্ধে ভ্রমণ যার টিকিট তার- এমন সেøাগান কোনো কাজে আসছে না। টিকিট বিক্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাই জেলে যান কালোবাজারির অভিযোগে। গত ঈদে এমনটি ঘটে। যাত্রীরা অভিযোগ করেন, অনলাইনে টিকিট কেনা সবচেয়ে কঠিন। গন্তব্য ও আসন সিলেক্ট করার পর টাকা পরিশোধের অপশন চাপ দেওয়ার আগেই বলা হয় আসন খালি নেই। বাধ্য হয়ে আবার কাউন্টারমুখী হচ্ছে মানুষ। এ সমস্যার কোনো সমাধানই করতে পারছে না চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান ‘সহজ লিমিটেড।’
গত ২৫ মার্চ ৭৭ স্টেশনের কাউন্টার এবং পরের দিন অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। একদিকে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন, অন্যদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কারিগরি ত্রুটির কারণে অবিক্রীত টিকিটের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। ফলে লাভের আশায় দেওয়া প্রতিষ্ঠানের কারিগরি ত্রুটিতে রেলকে এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে।