ঈদযাত্রায় রাজধানীতে মোটরসাইকেলের প্রবেশ ঠেকাতে ঢাকার প্রবেশমুখে তল্লাশি চালাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এর আগে ঈদুল আজহার আগে ও পরে মোট সাত দিন এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।
সোমবার (৪ জুলাই) ডিএমপি ট্রাফিক পুলিশের একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, সরকারের এ নির্দেশনা পালনে আগামী বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) থেকে রাজধানীর প্রবেশমুখে প্রতিটি মোটরসাইকেল আটকানো হবে। তবে রাজধানী থেকে আশপাশে ঢাকা জেলার অধীন কোনো গন্তব্যে চলাচলকারী যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে।
এর আগে গত রোববার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহন সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী জানান, ঈদের আগে তিন দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরে তিন দিন এই সাত দিন এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল করা যাবে না। এ ছাড়াও মহাসড়কে রাইড শেয়ারিংও করা যাবে না।
পরিবহন সচিব জানানা, যৌক্তিক কারণ ছাড়া ঈদের আগে তিন দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরে তিন দিন- এই সাত দিন এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল করবে না। একই সময়ে দেশের সব মহাসড়কে রাইড শেয়ারিং করা যাবে না। কোনো জরুরি কারণে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে হলে তা পুলিশকে জানাতে হবে। পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে এক জেলার মোটরসাইকেল অন্য জেলায় যেতে পারবে।
তিনি আরও জানান, এই সিদ্ধান্তের বাইরে ঢাকার মোটরসাইকেল ঢাকায় চালাতে হবে। চট্টগ্রামের মোটরসাইকেল চট্টগ্রামে এবং বরিশালের মোটরসাইকেল বরিশালে চালাতে হবে।
এদিকে গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর রোববার (২৬ জুন) ভোর থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। পরে সেতুতে বেপরোয়াভাবে অধিক মোটরসাইকেল চলাচল শুরু করে, এতে ঘটে দুর্ঘটনাও।
মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতি থাকায় দুই তরুণ ওইদিনই দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। এরপর সেতুর পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, যা এখনো চলমান রয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশে একাধিক গবেষণায় মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও হতাহতের পেছনে মোটরসাইকেলকে দায়ী করা হয়েছে। গত ঈদুল ফিতরের সময় মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ৩২৩ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের ৪৩ শতাংশই ছিল মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী।
এ ছাড়া মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় বলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে।