বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তাই পুরোদমে ব্যর্থ এই সরকারকে ক্ষমতার মসনদ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। চলমান বন্যার পরে একদফা আন্দোলনের মাধ্যমে এই লুটেরা বাকশাশি সরকারের পতন ঘটানো হবে।’
আজ সোমবার সাবেক মন্ত্রী রিয়ার এডমিরাল (অব.) প্রয়াত মাহবুব আলী খানের মেয়ে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের পক্ষ থেকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় বানভাসিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ত্রাণসামগ্রী বিতরণের আগে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আওয়মী লীগ সরকার কখনো জনগণের ভালো চায় না। তারা জনকল্যাণে কাজ না করে লুটপাটে ব্যস্ত। তারা বড় বড় মেঘা প্রকল্পের নামে দুর্নীতি করে জনগণের সম্পদ লুটপাট করছে। চলমান ভয়াবহ বন্যায়ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগনের পাশে নেই। বরং সিলেট যখন পানিতে ডুবছে তখন সরকার পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের নামে বিদেশি শিল্পী এনে নাচ-গান করে জনগণের সঙ্গে তামাশা করেছে।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। কিন্তু এই আওয়ামী লীগ সরকার হচ্ছে লুটপাট, ধর্ষণকারী, মুদ্রাপাচার, নারী ও শিশু পাচারকারীদের জন্য। মানুষ মানুষের জন্য – এই কথা বিশ্বাস করে বলেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গত ১২ বছর ধরে সরকারের মামলা, হামলার শিকার, পুলিশের পয়সা (ঘুষ) জোগাড় করতে করতে নিঃস্ব হয়ে গেছি। আপনারা পানিবন্দি আর আমার, আপনার নেত্রী গৃহবন্দি। আমাদের নেতা তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারপরও সেখান থেকে দেশের মানুষের কল্যাণের কথা ভাবছেন, দেশের জনগনের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন, গণতন্ত্র ফেরাতে কাজ করছেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক দল এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ঘোষণা দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না তারা। নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে, মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেই আগামী দিনে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী সাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী, বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ।