ঢাকা: ত্রিপল বা প্লাস্টিক বিছিয়ে কেউ ঘুমিয়েছেন, কেউবা তাস, লুডু খেলে সময় কাটাচ্ছেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে রেলওয়ের টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিন রাতেও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যথারীতি অপেক্ষা করতে দেখা গেছে টিকিট প্রত্যাশীদের।
বরাবরের মত রোববারও সকাল ৮টা থেকে যথারীতি টিকিট বিক্রি শুরু হয়। এদিন মূলত ৭ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি করা হয়। তবে, অনলাইনে টিকিট না পাওয়ায় স্টেশনেই অপেক্ষা করছেন টিকিট প্রত্যাশীরা। প্রতিটি কাউন্টারের সামনে এবং প্লাটফর্মে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
কথা হয়, রাকিব নামে একজনের সঙ্গে। দুপুর ১টায় স্টেশনে এসেছেন তিনি। সঙ্গে আরও ৩ জন। গন্তব্য নীলফামারীর ডোমারে। নিজে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য দাঁড়িয়েছেন বন্ধুকে দাঁড় করিয়েছেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের টিকিটের
জানান, সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়ালেও মেলেনি টিকিট। ফলে, এখানেই রাতে থেকে আগামীকাল ফেরটিকিটের জন্য অপেক্ষা করবেন। বললেন, ভাই চরম ভোগান্তির শিকার। কিন্তু, বাড়ি তো যেতেই হবে।
একই অবস্থা আরেক টিকিট প্রত্যাশী জোবায়েরেরও। যাবেন পঞ্চগড়। অপেক্ষার শুরু বেলা ১১টা থেকে। এসেছিলেন ৭ জুলাইয়ের টিকিটের জন্য। সারাদিন অপেক্ষা পরেও টিকিট না পাওয়ায় এখন ৮ জুলাইয়ের টিকিট, অর্থাৎ আগামীকালের জন্য অপেক্ষা করছেন।
এদিকে ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রির কথা বললেও অনলাইনে মিলছে না টিকিট। অভিযোগ আছে, অনলাইনের টিকিট বিক্রি হয় কালোবাজারির মাধ্যমে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী বলেন, আমি শনিবার ২টা ল্যাপটপ, ২টা ফোন থেকে অনেক চেষ্টা করেও টিকিট কাটতে পারিনি। টিকিটই নেই, কাটব কীভাবে। টিকিট বিক্রি হয় কালোবাজারে।
এদিকে, সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে টিকিট নিয়ে অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার।
কাউন্টার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৩ জুলাই ৭ জুলাইয়ের, ৪ জুলাই ৮ জুলাইয়ের এবং ৫ জুলাই ৯ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে। অন্যদিকে, ঈদ শেষে ফিরতি ট্রেনের ক্ষেত্রে ১১ জুলাইয়ের টিকেট পাওয়া যাবে ৭ জুলাই, ১২ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকেট ৮ জুলাই, ১৩ জুলাইয়ের টিকেট ৯ জুলাই এবং ১৪ ও ১৫ জুলাইয়ের টিকেট ১১ জুলাই পাওয়া যাবে।