বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যয় কমাতে সব ধরনের যানবাহন কেনা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। রোববার (৩ জুলাই) অর্থ বিভাগের বাজেট অনুবিভাগ-১ থেকে উপসচিব মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানের সই করা এক পরিপত্রে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
পরিপত্রে বলা হয়, ‘বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে কতিপয় খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
‘ব্যয় কমাতে গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে- নতুন/প্রতিস্থাপক হিসেবে সব ধরনের যানবাহন ক্রয় (মোটরযান, জলযান, আকাশযান) বন্ধ থাকবে। শুধু জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় আপ্যায়ন ব্যয়, ভ্রমণ ব্যয়, অন্যান্য মনিহারি, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ও আসবাবপত্র খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।’
দেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ খাতে (প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ছাড়া) বরাদ্দ করা অর্থের ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে বলেও পরিপত্রে বলা হয়।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও পরিপত্রে জানানো হয়।
এর আগে গত ১২ মে অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা-৬ অধিশাখা থেকে জারি করা এক পরিপত্রে অতি প্রয়োজনীয় সফর ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই পরিপত্রে বলা হয়, কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বর্তমানে বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সব ধরনের ভ্রমণ, সেমিনার, ওয়ার্কশপ উপলক্ষে বিদেশযাত্রা বন্ধ থাকবে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, মূলত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পরে গত ১৮ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ এক নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য জারি করা সব আদেশ বাতিল করা হয়। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ, শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।