দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন তাদের সর্বনিম্ন ফ্লেক্সিলোড বা রিচার্জের লিমিট ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করেছে। অর্থাৎ এখন থেকে গ্রাহকদের সর্বনিম্ন ২০ টাকা ফ্লেক্সিলোড করতে হবে।
শুক্রবার (১ জুলাই) এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানায় টেলিকম অপারেটরটি।
বাংলাদেশে গ্রামীণফোনই প্রথম যারা ফ্লেক্সিলোডের ন্যূনতম লিমিট নির্ধারণ করে দিল। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এ পরিবর্তন? এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন মুহাম্মদ হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের বিভিন্ন প্রোডাক্টের সুবিধা সরলীকরণ করার অংশ হিসেবে ফ্লেক্সিলোড সর্বনিম্ন ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার সময় সংবাদকে জানান, বর্তমানে ২০ টাকা ফ্লেক্সিলোড করলে ৩০ দিনের মেয়াদ পাওয়া যাবে। এর আগে ১০ টাকা ফ্লেক্সিলোডেও ৩০ দিন মেয়াদ পাওয়া যেত। ২০ টাকার কম ফ্লেক্সিলোড না করা গেলেও গ্রামীণফোনের ৯ টাকা, ১০ টাকা ও ১৯ টাকার স্ক্র্যাচ কার্ডগুলো আগের মতোই ব্যবহার করা যাবে। তবে জিপি থেকে জিপি নম্বরে সর্বনিম্ন ১০ টাকা ব্যালেন্স ট্রান্সফার করা যাবে।
এ ছাড়া ২১ টাকা ও ২৯ টাকা ফ্লেক্সিলোড করে যেকোনো স্থানীয় নম্বরে দুদিন এবং তিনদিনের জন্য বিশেষ কল রেটের সুবিধাও উপভোগ করা যাবে বলেও জানান খায়রুল বাশার।
গত সপ্তাহে সেবার মান সন্তোষজনক নয় উল্লেখ করে গ্রামীণফোনের নতুন সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)।
বিটিআরসির হিসাবে, দেশে এখন ১৮ কোটি ৪২ লাখ সক্রিয় সিম রয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের সিম সংখ্যা ৮ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার। গ্রাহক সংখ্যা, রাজস্ব ও মুনাফার দিক দিয়ে গ্রামীণফোন বাংলাদেশের শীর্ষ অপারেটর।
বিটিআরসির সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রামীণফোন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গ্রামীণফোন বিটিআরসি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা আইটিইউর সেবার মানদণ্ড অনুসরণ করার পাশাপাশি সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মানদণ্ড থেকেও এগিয়ে আছে। ধারাবাহিকভাবে নেটওয়ার্ক ও সেবার মানোন্নয়নে তারা বিটিআরসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এবং নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।