জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, ‘পল্লীবন্ধু এরশাদ নেই। উনি থাকলে পার্টি অন্যরকম হতো। উনি নেই, তাই আজ জাতীয় পার্টি এলোমেলো হয়ে গেছে।
আজ শনিবার দুপুরে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে দলের বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন রওশন এরশাদ। এ সময় তার ছেলে সংসদ সদস্য রাহগীর আল মাহি (সাদ এরশাদ) ছাড়াও জাপার সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মিলন উপস্থিত ছিলেন। তবে এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন না।
মতবিনিময় সভায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্মরণ করে তার স্ত্রী রওশন এরশাদ বলেন, ‘এরশাদ ওপারে ভালো আছেন। উনি জান্নাতবাসী হবেন। কারণ, তিনি ইসলামের খাদেম ছিলেন।’
জাপাতে স্বেচ্ছাচারিতা চলছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘যাদের দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। যারা চলে গেছেন তাদেরও ফিরিয়ে আনতে হবে। নতুবা আমরা অনেক পিছিয়ে যাব। জাতীয় পার্টিতে স্বেচ্ছাচারিতা চলছে।’
রওশন এরশাদ বলেন, ‘দীর্ঘ ছয়মাস আমি থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। পার্টির কেউ খোঁজ নেয়নি আমার। আমি সবার খোঁজ নিয়েছি। অথচ যাদের দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তারাই আমার নিয়মিত খোঁজ রেখেছেন। মসজিদ, মাজারসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।’
জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক বলেন, ‘অনেক ভালো ভালো নেতাকর্মী দলের বাইরে আছেন, তাদের দলে আনতে হবে। নতুন প্রজন্মকে দলে আনতে হবে। কাজী জাফর, শাহ্ মোয়াজ্জেম, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ অনেক সিনিয়র নেতা পার্টি ছেড়ে চলে গেছেন, তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। দলকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমকক্ষ বানাতে হবে। নতুবা রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারব না।’
রওশন এরশাদ বলেন, ‘পার্টিকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনে যা যা করার দরকার তাই করব। এরশাদ সাহেব তিলে তিলে এ দলটা গড়েছেন। সবাইকে নিয়েই কাজ করতে হবে।’