চাহিদার চেয়ে দেড় লাখ বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত করে এখন ভারতীয় গরুর আতঙ্কে ভুগছেন রংপুর জেলার খামারিরা। গো-খাদ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা সংকটের পরও কোনোরকম টিকে থাকা দেশীয় খামারিদের রক্ষায় সীমান্ত বন্ধের দাবি জানিয়েছে ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন।
দেশি-বিদেশি জাতের বেশকিছু গরুর সঙ্গে ৪০ মণ ওজনের আমেরিকান ফ্রিজিয়াম জাতের একটি গরু কোরবানির জন্য লালনপালন করছেন কাউনিয়া উপজেলার শিবুগ্রামের খামারি নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাহাদুর নামের গরুটি উত্তরের সবচেয়ে বড় দাবি করে দাম হাঁকছেন ২৫ লাখ টাকা। অন্যান্য গো-খাদ্যের সঙ্গে প্রতিদিন সাড়ে ৩ মণ সবুজ ঘাস খাওয়াতে হয় গরুটিকে।
এদিকে ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন, করোনায় গত দুই বছর বন্ধ থাকলেও এবার শুরুতেই ভারতীয় গরু আসছে। গো-খাদ্যের দাম বাড়লেও কোরবানির জন্য স্থানীয়ভাবে প্রচুর গরু-ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশীয় খামারিদের রক্ষায় এখনই সীমান্ত বন্ধের দাবি তাদের।
রংপুর জেলা ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লতিফুর রহমান মিলন বলেন, ভারত থেকে যে গরু আসছে, এর জন্য খামারিরা উপযুক্ত দাম পাবে না বলে মনে হচ্ছে। তাই রংপুর জেলা ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম আসিফুল ইসলাম জরুরি অবস্থায় সীমান্ত বন্ধের দাবি জানান।
তবে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাবুল হোসেন ভারতীয় গরু আসার বিষয়টি অস্বীকার করে বলছেন, গো-খাদ্যের দামের সঙ্গে পশুর দামও বেড়েছে।
তিনি বলেন, খামারিরা বেশি দাম দিয়ে গো-খাদ্য কিনছেন ঠিকই। কিন্তু তারা বেশি দামে পশু বিক্রিও করছেন। তাই আমার মনে হয়, তাদের ওপর গো-খাদ্যের দাম বাড়ার প্রভাব তেমন একটা পড়বে না।
উল্লেখ্য, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর জানিয়েছে, জেলার ২৫ হাজার ৭১টি খামারে এবার কোরবানির উপযোগী গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া আছে ৩ লাখ সাড়ে ৫৩ হাজার। স্থানীয় চাহিদা ২ লাখ ২১ হাজারের পর উদ্বৃত্ত থাকবে ১ লাখ ৩২ হাজার পশু।