ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। দুটি ওয়্যার হাউজে আনুমানিক ২৫ কোটি টাকার মালামাল রয়েছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারী আনতে না পারলে পাওনাদারদের অর্থ পরিশোধ সম্ভব নয়।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইভ্যালির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান উচ্চ আদালত কর্তৃক গঠিত ইভ্যালির বর্তমান নতুন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
তিনি বলেন, ইভ্যালির দুই ধরনের পাওনাদার রয়েছে। যারা সাপ্লাইয়ার আর যারা ক্লায়েন্ট। এখানে সাপ্লায়েরদের পাওনা বেশি। বর্তমানে ইভ্যালির যে সম্পদ রয়েছে তাতে পাওনাদারদের সন্তুষ্ট করা অসম্ভব।
সাভারে ইভ্যালির দুটি ওয়্যার হাউজে আনুমানিক ২৫ কোটি টাকার পণ্য রয়েছে। এছাড়া, ৯টা ছোট পুরাতন কাভার্ডভ্যান ও ৫টা গাড়ি পেয়েছি। তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তেমন টাকা নেই। যা আছে তা পাওনাদারদের টাকার তুলনায় কিছুই না, এটা সমুদ্রে এক ফোঁটা পানির মতো।
ইভ্যালির সিইও মো: রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন উচ্চ আদালতে বিনিয়োগকারী আনতে পারবেন বলে একটি এভিটওভিট দিয়েছেন। তারা যদি বিনিয়োগকারী আনতে পারে তাহলে কোম্পানি চলবে, পাওনাদাররাও টাকা পাবে। এটা নির্ভর করছে তারা বিনিয়োগকারী আনতে পারবেন কিনা।
এদিকে এমাসেই ইভ্যালির অডিট কার্যক্রম শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি মানিক। তবে সার্ভার সচল না থাকায় অডিটে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া নিয়ে সংশয়ে পরিচালনা পর্ষদ।
উল্লেখ্য, প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন বর্তমানে কারাগারে আটক আছেন।