ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওডেসা অঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ৩০ জন। শুক্রবার ভোরে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে এ খবর জানানো হয়েছে।
ওডেসা সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র সের্গেই ব্রাচুক বলেন, ‘অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।’
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর অপারেশনাল কমান্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘কৃষ্ণ সাগরে কৌশলগত যুদ্ধবিমান থেকে’ এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
একটি ক্ষেপণাস্ত্র নয় তলা আবাসিক ভবনে আঘাত হেনেছে- উল্লেখ করে সেনাবাহিনী বলেছে, আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র একটি বিনোদন কেন্দ্রে আঘাত হানে। বিনোদন কেন্দ্রে হামলায় এক শিশুসহ তিনজন নিহত এবং একজন আহত হয়।
এদিকে জরুরী সেবা বিভাগ জানিয়েছে, ‘নয় তলা আবাসিক ভবনের একটি অংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলায় ১৪ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন শিশুসহ ৩০ জন আহত হয়। উদ্ধার কর্মীরা তিন শিশুসহ সাতজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।’
ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলে ক্রেমেনচুকের একটি শপিং সেন্টারে রাশিয়ার হামলায় ১৮ জন বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার কয়েকদিন পরেই এই আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হলো।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ওই ঘটনায় রুশ বাহিনীর দায় অস্বীকার করেছেন।
ওডেসার দক্ষিণ অঞ্চলটি একটি কৌশলগত এলাকা, এখানেই ইউক্রেনের ঐতিহাসিক ওডেসা বন্দর।
যুদ্ধ শুরুর পর অনেকেই ইউক্রেন ছেড়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। তবে যারা দেশ ছাড়েনি, তারা হয় দেশরক্ষার লড়াইয়ে নেমেছে, নয়তো নিজেকে তৈরি রাখছে, তৈরি করছে দেশ পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখার জন্য। যুদ্ধের মাঝেও পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার রাশিয়া জানায়, কৃষ্ণসাগরের ওডেসা বন্দরের কাছে স্নেক আইল্যান্ড থেকে তারা সেনা সরিয়ে নিয়েছে। ইউক্রেনের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েই রাশিয়া এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে তাদের দাবি। কিন্তু ইউক্রেনের বক্তব্য, তাদের হাউইতজার আক্রমণের মুখে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে রাশিয়া। আর সে কারণেই যাওয়ার আগে তারা প্রতিহিংসা স্বরূপ ওডেসায় মিসাইল হামলা চালিয়েছে।