পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চগুলোতে যাত্রী কমেছে। এতে সাড়ে ৩০০ টাকার ডেকের ভাড়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় নেমেছে। কেবিনের জন্য নেই হাহাকার, খালি থাকছে এক-তৃতীয়াংশ।
লঞ্চে টাটকা মাছের রান্না যুগের পর যুগ চলে আসছে। একদিকে রান্না চলে, অন্যদিকে তা সাবাড়। সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সবজি, ভর্তা, মাংস, ডাল চড়চড়ি তো থাকেই।
আরামআয়েস করে রাজকীয় ধারায় যাতায়াতে নৌযাত্রার সুখ্যাতি দেশের ঢাকা-বরিশাল রুটে। যাত্রী সেবায় একেকটি লঞ্চে অত্যাধুনিক কেবিন, লিফট, রেস্তোরাঁ, কফি হাউস, সিসিইউ, বাচ্চাদের খেলনাসহ নানান সুবিধা। কিন্তু এত সব সুবিধা ফিকে করে দিয়েছে সড়ক পথের মাইলফলক। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সড়ক পথে বাসযাত্রীদের চাপ বেড়ে, কমে গেছে লঞ্চের যাত্রী।
বরিশাল নদীবন্দরে ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে ডেকে যাত্রী থাকলেও অধিকাংশ কেবিনই ফাঁকা এখন। যাত্রী আকর্ষণে ভাড়া কমিয়েছে অনেক লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
সুরভী নেভিগেশনের পরিচালক রিয়াজ উল কবির বলেন, এ সময়ে যাত্রী চলাচল প্রতি বছরই কম থাকে। ঈদের পরে আমরা প্রকৃত চিত্রটি বুঝতে পারব। যদি খারাপের দিকে যায় সে জন্য ইতোমধ্যে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।
ঢাকা-বরিশাল নৌপথে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭টি লঞ্চ চলাচল করে। লঞ্চে সময় লাগে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা। আর পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় গাড়িতে সময় লাগছে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা।