পদ্মা সেতুতে দুর্ঘটনা, মামলা নেবে কোন থানা?

Slider জাতীয়


পদ্মা সেতুর মাঝপথে প্রথম সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা।
দুই প্রান্তে নতুন দুটি থানা হলেও সেতুর মাঝখানের ২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার সড়কপথ তাদের আওতার বাইরেই রয়ে গেছে। এটি প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে মাদারীপুরের শিবচর থানার মধ্যে পড়ায় মামলা করা নিয়ে দেখা দিয়েছে আইনি মারপ্যাঁচ।

স্বপ্নজয়ের পর পদ্মা সেতুতে দিনরাত চলাচল করছে শত শত যান। এতে সেতু সড়কে নানা ঘটনাও ঘটছে। এসব বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেতুর দুই প্রান্তে দুটি নতুন থানা চালু করা হয়।

দুটি করে ইউনিয়ন সীমানা ভাগ করে মাওয়া প্রান্তের পদ্মা উত্তর থানার আওতায় পড়েছে সেতুর ১ নম্বর থেকে ১৬ নম্বর খুঁটি পর্যন্ত দুই হাজার ৪০০ মিটার। সেতুর জাজিরা প্রান্তের পদ্মা দক্ষিণ থানার আওতায় পড়েছে ৩৩ থেকে ৪২ নম্বর খুঁটি পর্যন্ত ১ হাজার ৩৫০ মিটার। কিন্তু সেতুর মাঝখানের ১৭ থেকে ৩২ পর্যন্ত খুঁটির ২ হাজার ৪০০ মিটারের দায়িত্ব দুই থানার আওতায় পড়েনি।

আর নদীর মাঝখানের এলাকাটি পড়েছে মাদারীপুরের শিবচর থানার আওতায়। কিন্তু শিবচর থানা থেকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার। এরপর দক্ষিণ থানার এলাকা অতিক্রম করে সেতুর ৩২ থেকে ১৭ নম্বর খুঁটির আইনশৃঙ্খলা দেখা শিবচরের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জের।

মুন্সীগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুই থানা উপহার দিয়েছেন। তিনি নিজে এই দুই থানার উদ্বোধনও করেছেন। এখান থেকে আমরা অবশ্যই শতভাগ চেষ্টা করব কোনো মানুষই যেন আমাদের সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।

সেতু চালুর দিনই মাঝপথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়। এতে দুর্ঘটনাস্থল কোনো থানার আওতাধীন, তা নিয়ে সময়ক্ষেপণ হয়। সেতুর উত্তর ও দক্ষিণ উভয় থানা বলছে, সীমানার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। শেষ পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনাটি পদ্মা উত্তর থানার প্রথম অপমৃত্যু মামলা।

শরীয়তপুর পদ্মা দক্ষিণ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ হাসান বলেন, ৩৩নং খুঁটি থেকে ৪২নং খুঁটি পর্যন্ত জায়গার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যেসব ঘটনা ঘটে থাকে সেগুলো এই থানা দেখে থাকে।

মুন্সীগঞ্জ পদ্মা উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, নিজেই ওভারড্রাইভ করে দুর্ঘটনা ঘটে, ঢাকা মেডিকেলে মারা যায়। পরবর্তীতে এই মামলাটি তার আত্মীয়স্বজনের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রুজু করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পুলিশ ছাড়াও সেতুর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, রেল পুলিশ, র‌্যাব এবং সেতুর নিচে পদ্মায় সেনাবাহিনীর নৌ ইউনিট, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ রয়েছে। তবে সেতুর আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মামলার বিষয়টি দেখবে থানা পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *