করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। চারদিন করোনায় মৃত্যুশূন্যের খবর জানালো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরআগে গত ২৪ জুন করোনায় মৃত্যুশূন্য ছিলে দেশ। ফলে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৪৫ জনই রয়েছে।
একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৪১ জনের। এ নিয়ে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭১ হাজার ৬০২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ।
বুধবার (২৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এরআগে মঙ্গলবার (২৮ জুন) ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু এবং ২ হাজার ৮৭ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ২৭ জুন দুজনের মৃত্যু এবং ২ হাজার ১০১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ। এছাড়া ২৬ জুন দুজনের মৃত্যু ও এক হাজার ৬৮০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। আর ২৫ জুন করোনায় মারা যান তিনজন এবং শনাক্ত হয় এক হাজার ২৮০ জন রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৮০টি ল্যাবরেটরিতে ১৪ হাজার ৯১২টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৪ হাজার ৭১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
মহামারি শুরুর পর থেকে দেশে এ পর্যন্ত এক কোটি ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার ৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯৪ লাখ ৩০ হাজার ১৫৪টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৯ লাখ তিন হাজার ৯২৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এদিকে, একদিনে করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠেছেন ১৫২ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৭ হাজার ২১৯ জন।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দাপট শিথিল হয়ে আসায় গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে দেশে সংক্রমণের হারও কমতে থাকে। এরই ধারাবাহিকায় গত ২৬ মার্চ দৈনিক শনাক্ত একশোর নিচে এবং ৫ মে তা আরও কমে ৪ জনে নামে। তবে গত ২২ মে’র পর থেকে সংক্রমণ আবারও ঊর্ধ্বমুখী রূপ নেয়।
গত ১২ জুন দৈনিক শনাক্ত ১০০ ছাড়ানোর মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় তা আরও বেড়ে ৮০০ ছাড়িয়ে যায়।
এরইমধ্যে মঙ্গলবার দেশে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপ-ধরন শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক। নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টটির নাম দেওয়া হয়েছে বিএ.৪/৫ (BA.4/5)। বাংলাদেশি দুজনের শরীরে সাব-ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়েছে। যাদের একজনের বয়স ৪৪ বছর এবং অন্যজনের ৭৯ বছর।
নতুন উপ-ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের একজন করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ এবং অন্যজন দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হাসপাতালে, অন্যজন বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।