পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করা বিটিভির দুই চিত্রগ্রাহক প্রধানমন্ত্রীকন্যার কাছ থেকে পেলেন ‘অনন্য উপহার’। এর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার কন্যা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্রী এবং বাংলাদেশে অটিজম আন্দোলনের পথিকৃৎ সায়মা ওয়াজেদের জনসাধারণের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা ও মমত্ববোধের এক অনুপম দৃষ্টান্ত মিলেছে।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস ফেসবুকে নিজের ফেরিফাইড পেজে ‘মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু দৌহিত্রীর অনুভব-মমত্ববোধ’ শিরোনামে দেয়া একটি স্ট্যাটাস থেকে এ বিষয়টি জানা গেছে।
সায়মা ওয়াজেদ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন সেতুর ওপরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অবস্থানকালে নিজের ক্যামেরায় ছবি তুলছিলেন। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা সেই অনুষ্ঠানে নিজের মায়ের ছবিও তুলতে দেখা যায় পুতুলকে। এর মধ্যে কোনো এক ফাঁকে তার ক্যামেরায় বন্দি হয় বিটিভির দুই চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব পালনের দৃশ্য। পরবর্তীকালে ওই ক্যামেরাম্যানদের ছবি তাদের কাছে পৌঁছে দিতে তাকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে। এর মাধ্যমে সাধারণের প্রতি তার মমত্ববোধের এক অনুপম দৃষ্টান্ত ফুটে উঠেছে।
স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব লেখেন, ‘গত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। মাওয়া প্রান্তের সুধী সমাবেশে বক্তব্য, টোলপ্লাজায় টোল দেয়া এবং উদ্বোধন ফলক উন্মোচন শেষে প্রধানমন্ত্রী তার গাড়িবহর নিয়ে পদ্মা সেতুতে উঠেন। পরবর্তীকালে সেতুর মাঝ বরাবর একটি স্থানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট উপভোগের জন্য শেখ হাসিনা অল্প সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল একটি ক্যামেরায় বিভিন্ন ছবি তুলতে থাকেন।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘পদ্মা সেতুতে দায়িত্বপালনরত বিটিভির দুজন ক্যামেরাপারসনের একটি ছবি পাঠিয়ে গত পরশু সন্ধ্যায় আমার হোয়াটসঅ্যাপে প্রধানমন্ত্রীর এডিসি টেক্সট করেন যে, ছবিটি আমি যেন ওই দুই ক্যামেরাম্যানকে পৌঁছে দেই। বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার জন্য এডিসিকে ফোন দিলে উনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা পুতুল তার নিজ ক্যামেরায় ওই ছবিটি তুলেছেন এবং তার কাছে যেহেতু ওই ক্যামেরাপারসনদের কন্টাক্ট নম্বর নেই, তাই তিনি এটা তাদের কাছে পৌঁছে দিতে বলেছেন।’
এম এম ইমরুল কায়েস আরও লেখেন, ‘কিছুক্ষণ আমি স্থবির হয়ে পড়ি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দোহিত্রীর মানুষের প্রতি প্রগাঢ় অনুভব আমাকে অভিভূত করে! ঐতিহাসিক ওই মুহূর্তে অচেনা-অজানা বিটিভির দুজন ক্যামেরাম্যানের ছবি তিনি না-ই তুলতে পারতেন; আর তুলেই যখন ফেলেছেন, পরবর্তীকালে অপ্রয়োজনীয় ছবি হিসেবে তিনি এটি ডিলিট করে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি! এটিই জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের গণমানুষের প্রতি নিখাদ ভালোবাসা ও মমত্ববোধ।’